Laljuri Road Block : “We want a teacher”— এই স্লোগানেই সোমবার সকাল থেকে উত্তাল হয়ে উঠল লালজুরী এলাকা। উজান মাছমারা হাই স্কুলের শতাধিক ছাত্রছাত্রী শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে কাঞ্চনপুর-ধর্মনগর সড়ক অবরোধ করে ঘন্টার পর ঘন্টা বিক্ষোভ চালায়।
সকাল ৭টা থেকেই পড়ুয়ারা প্রেমতলা মোড়ে অবস্থান নেন। তাদের অভিযোগ, বিদ্যালয়ে দুই শতাধিক ছাত্রছাত্রী থাকলেও কার্যত মাত্র ৭ জন শিক্ষক আছেন, যার মধ্যে প্রাইমারি সেকশনও পড়াতে হয়। ফলে নিয়মিতভাবে অনেক ক্লাস পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানানো হলেও সমাধান না হওয়ায় পড়ুয়ারা বাধ্য হয়েই আন্দোলনের পথে নামে।
অবরোধের জেরে কাঞ্চনপুর-ধর্মনগর ব্যস্ত সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। দু’পাশে শতাধিক গাড়ির দীর্ঘ লাইন জমে যায়। কর্মস্থলে যাওয়া সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে সাধারণ যাত্রী—সকলকেই চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “শিক্ষক না থাকলে সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে যাবে। কতবার জানিয়েও কাজ হয়নি।”
ঘটনার খবর জেলা শিক্ষা দপ্তরে পৌঁছালে পী রঞ্জন ত্রিপুরার নির্দেশে শিক্ষা আধিকারিক সমীর রঞ্জন নাথ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং লিখিতভাবে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগের আশ্বাস দেন। তাঁর আশ্বাসের পর দুপুর প্রায় ১২টার সময় অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় ছাত্রছাত্রীরা।
তবে প্রশ্ন রয়ে গেল—কবে মিলবে পর্যাপ্ত শিক্ষক? শিক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সংকট শুধু লালজুরীতেই নয়, রাজ্যের একাধিক প্রান্তে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক ঘাটতি পূরণ না হওয়ায় শিক্ষার মান প্রশ্নের মুখে পড়ছে।
স্থানীয় মহলের আশঙ্কা, প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে আবারও ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। ইতিমধ্যেই এ ঘটনার রাজনৈতিক প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে।
ফলে স্পষ্ট—লালজুরীর রাস্তায় ওঠা পড়ুয়াদের স্লোগান শুধু একটি বিদ্যালয়ের নয়, বরং বৃহত্তর শিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি এক তীব্র বার্তা।