Sonamura Congress Relly : বিহার রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে প্রবর্তিত এসআইআর (SIR) পদ্ধতি নিয়ে এখন দেশজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগ, এই পদ্ধতির মাধ্যমে প্রান্তিক শ্রেণীর ভোটারদের পরিকল্পিতভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আদিবাসী, দলিত, সংখ্যালঘু ও অন্যান্য পশ্চাৎপদ অংশের সাধারণ মানুষ। ভোটাধিকারের মতো সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ হওয়ার আশঙ্কায় এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে কংগ্রেস এবং তাদের সঙ্গী বিরোধী দলগুলি।
ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায়ও এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস আন্দোলন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে রবিবার সোনামুড়ায় অনুষ্ঠিত হয় জেলা কংগ্রেসের মিছিল ও পথসভা। সকাল থেকেই সোনামুড়া শহরে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় চোখে পড়ার মতো ছিল। জেলা কংগ্রেস ভবন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান পথ অতিক্রম করে রবীন্দ্রনাথ চৌমুহনীতে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে পা মেলান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা। উপস্থিত ছিলেন মহিলা কংগ্রেস সভানেত্রী সর্বানি চক্রবর্তী, যুব কংগ্রেস সভাপতি নীলকমল সাহা, পশ্চিমবঙ্গ কৃষাণ কংগ্রেস সভাপতি তপন দাস, জেলা সভাপতি দীপক চক্রবর্তী এবং সম্পাদক হাবিল মিয়া সহ একাধিক নেতৃত্ব। কর্মসূচির মূল স্লোগান ছিল— “ভোট চোর, গদি ছোড়”।
পথসভায় বক্তৃতা রাখতে গিয়ে আশীষ কুমার সাহা বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, “এসআইআর আসলে বিজেপির একটি সুপরিকল্পিত চাল। এর মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর আঘাত হানা হচ্ছে। ভোটের অধিকার থেকে প্রান্তিক মানুষের নাম মুছে ফেলা গণতন্ত্রের জন্য ভয়ংকর। কংগ্রেস এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবে।”
সভায় অন্যান্য নেতৃত্বেরাও কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি এবং এসআইআর প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের দাবি, এই পদক্ষেপ সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার সমান। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কংগ্রেস জনগণের পাশে থেকে শেষ পর্যন্ত আন্দোলন চালাবে।
এদিনের কর্মসূচিতে সোনামুড়ার রাস্তাজুড়ে কংগ্রেস কর্মীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। মিছিলের উচ্ছ্বাস এবং প্রতিবাদী স্লোগানে শহরের বাতাবরণ সরগরম হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ত্রিপুরায় আসন্ন সময়ের রাজনৈতিক সমীকরণে এই আন্দোলন বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
এভাবে সোনামুড়ার রাস্তায় কংগ্রেসের প্রতিবাদ শুধু স্থানীয় পরিসরেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং তা দেশের বৃহত্তর গণতান্ত্রিক প্রশ্নের সাথেও যুক্ত হয়েছে।