খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Wednesday, 10 September 2025 - 11:39 PM
বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ - ১১:৩৯ অপরাহ্ণ

Tripura Congress VS BJP : গনপতি পুজো বনাম কংগ্রেসের সভা , ক্ষেপে লাল দুই দলের নেতা নেত্রী

Tripura Congress VS BJP
1 minute read

Tripura Congress VS BJP : ত্রিপুরায় এখন বিজেপি বনাম কংগ্রেসের খণ্ড যুদ্ধ চলছে। একদিকে গনপতি উৎসব কে ঘিরে আনন্দে মুখর রাজ্য বিজেপি। তো অন্যদিকে বিজেপির ভোট চুরি করার অভিযোগ নিয়ে ময়দানে অবতীর্ণ কংগ্রেস। গনপতি আরাধনা কংগ্রেস ও করেছে বটে। কিন্তু দলীয় কর্মসূচীর সাথে আপোষ করে নি তারা। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচীর অঙ্গ হিসেবে যথারীতি শনিবার ৩০শে আগস্ট আগরতলার বুকে ভোট চুরির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শোনা গেল প্রদেশ কংগ্রেস কে। কিন্তু শেষ টা বোধয় কারোর কাছেই প্রত্যাশিত ছিল না।

উল্লেখ্য, বিগত প্রায় মাস খানেক যাবত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় “ভোট চোর গোদি ছোড়” শ্লোগানে মুখরিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে কংগ্রেস। আজ ৩০শে আগস্ট রাজধানীর বুকে সর্ব শেষ সুবিশাল মিছিল ও জনসভার ডাক দিয়েছিল কংগ্রেস। এই জনসভার জন্যে সদর প্রশাসনের কাছ থেকে একাধিক বার অনুমতি চায় কংগ্রেস। কিন্তু তাদের কে নানা তাল বাহানায় ৩ বার ৩ টি ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় সভা করার অনুমতি খারিজ করে দেওয়া হয়। অবশেষে একেবারে শেষ মুহূর্তে সার্কিট হাউজ এলাকায় তাদের কে সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এমনটাই বক্তব্য কংগ্রেস নেতৃত্বের।

সেই মোতাবেক এদিন সকালে পোস্ট অফিস চৌমুহনী স্থিত কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে মিছিল শুরু হয়ে সার্কিট হাউজে পৌঁছে মঞ্চে সভার আয়োজন শুরু হয়। এদিনের কর্মসূচী তে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস এর প্রদেশ সভাপতি আশিস কুমার সাহা, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ, উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির ত্রিপুরা রাজ্য ইনচার্জ সপ্তগিরি শঙ্কর উলাকা এবং সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক ত্রিপুরা রাজ্য ইনচার্জ ক্রিস্টোফার তিলক সহ যুব ও মহিলা কংগ্রেসিরা।

সার্কিট হাউজে নির্মিত মঞ্চে উঠে অনুষ্ঠান শুরু করবেন ঠিক সেই সময় বাঁধা দেয় স্থানীয় ৬ আগরতলা মণ্ডল ও যুব মোর্চা। উল্লেখ্য, সেই একই এলাকায় ৩০ মিটারের দূরত্বে গনপতি পুজো চলছিল তাদের। কংগ্রেসের মঞ্চ দেখেই তারা বাঁধা দিতে আসেন এবং প্রশাসন কে দিয়ে কংগ্রেসের সভা বাঞ্চাল করার জন্যে উদ্যত হন। সাথে সাথে ছুটে আসে জেলা ও সদর মহকুমা প্রশাসন। ভেঙ্গে দেওয়া হয় মঞ্চ। খুলে নিয়ে যাওয়া হয় সমস্ত ফ্লেক্স ব্যানার।

এই নিয়ে সেখানে উপস্থিত বিজেপি সহ সভানেত্রী পাপিয়া দত্তের বক্তব্য কংগ্রেস বিনা অনুমতি তে এখানে সভার আয়োজন করেছে। যদি তারা অনুমতি নিতেন তাহলে তারা বাঁধা দিতেন না। কিন্তু প্রশাসনের সাথে কথা বলে তারা নাকি জানতে পারেন যে কংগ্রেস এই সভা করার জন্যে কোনো অনুমতি নেয়নি। যা সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি ও অসাংবিধানিক। তাছাড়া এখানে গনপতি পুজো মণ্ডপের থিল্ক ৩০ মিটারের মধ্যে এই সভা মঞ্চ সাজানো হয়েছে। যা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং গ্রহন যোগ্য নয়। তাই স্থানীয় বিজেপি মণ্ডল ও গনপতি আরাধনায় ব্রতী মহিলারা মিলে কংগ্রেসের এই সভায় বাঁধা দিয়েছেন।

ফুটেজ নেওয়ার অনেক উপায় আছে। অযথা নাটক মঞ্চস্থ করে ফুটেজ নেওয়ায় চেষ্টা করবেন না – সুদীপ রায় বর্মণ কে উদ্দেশ্য করে এমনটাও বার্তা বিজেপি নেত্রী পাপিয়া দেবীর।

এদিকে সুদীপ রায় বর্মণ শেষ মুহূর্তে মাইক হাতে নিয়ে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন কে তীব্র ধিক্কার জানিয়েছেন। কারণ উনাদের এই সভা করার জন্যে শেষ মুহূর্তে অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন। যা তারা অস্বীকার করেছে। শাসক দলের মণ্ডল রাজের কাছে মাথা নত করে নিয়েছে রাজ্য পুলিশ। তাদের পদ লেহনে ব্রতী হয়েছে পুলিশ। এই সমস্ত বলেই তাদের কে তীব্র ভাষায় আক্রমন করেছেন এদিন সুদীপ রায় বর্মণ।

জেলা পুলিশ সুপার নমিত পাঠক এর কাছে জানতে চাইলে উনি ও বলেন, কংগ্রেস এর এই মিছিল ও সভার জন্যে কোনো অনুমতি ছিল না। যদিও সমস্ত টাই যে সাজানো এবং কংগ্রেস এর মিছিল বাঞ্চালের একটি পরিকল্পনা তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেনা। এর আগেও বহু বার বিরোধী দের এভাবেই কোণঠাসা করেছে রাজ্য বিজেপি।


তাছাড়া এদিন কংগ্রেস এর মিছিলে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় দেখে বিজেপির পায়ের তোলার মাটি খসে পড়েছে। এমনটাও গুঞ্জন রয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আর টাই সহ সভানেত্রির ইন্ধনে রাজ্য পুলিশ ও বেকায়দায় পরে গিয়ে তাদের দায়িত্বের সাথে আপোষ করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

For All Latest Updates

ভিডিও