Bishalgarh Gang Riot : বিশালগড় , অপরাধ জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো চকচক করা এই নাম কারোর কাছে অজানা নয়। সেই কংগ্রেস জোট আমলই হোক, বাম আমলই হোক আর রাম আমল হোক। কোন কালেই অপরাধ এবং বিশালগড় একে অপরের হাত ছারেনি। বর্তমানে বিশালগড়ের নাম অপরাধ এর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে। এটা বলতে গিয়ে কোনো দ্বিধা নেই কারণ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও রয়েছে এই রিপোর্ট।
নেশা বানিজ্যে গোটা সিপাহীজলা জেলা শীর্ষে রয়েছে। একথা অকপটে বলেছেন খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী। এর পরেও আর কি প্রমাণ চাই ? প্রমাণ চাইলে ও কারী কারী প্রমাণ দেওয়া যাবে। তবে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এক বিপুল পরিমাণ নেশা দ্রব্যের বাণিজ্যের পর্দা ফাঁস হওয়ায় বিশালগড়ে দুই দুটি আতঙ্ক বিরাজমান। এক নম্বরে রয়েছে বেআইনি বাণিজ্যের সাথে যুক্ত গ্যাং এর আতঙ্ক, অন্যদিকে দুর্বল আইন ব্যবস্থার ফলে মানুষের যান মালের আতঙ্ক।
বিশালগড়ে যে কোনো সময় গ্যাং ওয়ার বেঁধে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এবার গভীর রাতে দুই গ্যাং এর সংঘর্ষ ঘটেছে বিশালগড় থানাধীন জাতীয় সড়কের রাস্তার মাথা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলেজ সংলগ্ন এলাকায়। এক গ্যাং এর নিষিদ্ধ কফ সিরাপ এসকফ বোঝাই একটি নম্বর প্লেইট বিহীন বুলেরো গাড়িকে ধাক্কা দেয় অপর গ্যাং। এতে গাড়িটি রাস্তার পাশে ছিটকে পরে। ঘটনার পরপরই হামলাকারী গ্যাং এর সদস্যরা গাড়িতে থাকা মোট 40,575 বোতল এসকফ থেকে 39,750 বোতল এসকফ লুট করে নিয়ে যায় বলে খবর। বাকি থাকা এসকফ গুলি পুলিশ দ্বারা উদ্ধার হয়েছে। যদিও ধৃতের সংখ্যা শূন্য।
ঘটা করে কয়েক বছর আগেই বিশালগড় উত্তম ভক্ত চৌমহনী তে বসানো হয়েছে পুলিশের নাকা পয়েন্ট। কিন্তু এই নাকা পয়েন্ট থাকা সত্ত্বেও দিন দুপুরে ও রাতের আধারে পাচার হচ্ছে নেশা সামগ্রী। পুলিশ জেনেও কোন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। গত কিছুদিন আগে এই জায়গাতে একটি গাড়ি দুর্ঘটনা কবলে পড়ে উদ্ধার করা হয় এসকফ সহ নেশা সামগ্রী। তার আগেই নাকা পেড়িয়ে আসে গাড়িটি । অথচ পুলিশের হাতে ধরা পড়েনি।
সূত্রের খবর নাকা পয়েন্টে থাকা একাংশ পুলিশ কর্মীরা বাঁকা পথে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা । সংবাদ কর্মীদের দেখলেই , কিচ্ছু হয়নি , রেগুলার চেকিং – এসব বলে অজুহাত দেখিয়ে নিজেদের কামাইয়ের রাস্তা গোপন করে চলেছে এরা। যার ফলে কলঙ্কিত হচ্ছে রাজ্যের আইন ব্যবস্থা। মহকুমা ও জেলা প্রশাসন এর ব্যর্থতার ফলে নাকা পয়েন্টে পুলিশ বাবুদের দু নম্বরি উপার্জন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে বলেও অভিযোগ উঠছে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ দাবী করছেন শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মহল।
অন্যদিকে বিশালগড়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এমনি তেই গোষ্ঠী কোন্দলের ছড়াছড়ি। দুই গোষ্ঠী একে অপরকে কিভাবে ছিঁড়ে খাবে সেই ক্ষুধা আর সুযোগ সন্ধ্যানে ব্যতিব্যস্ত থাকে দুটি মহল। যদিও তাদের নাম উল্লেখ করা প্রয়োজনীয় নয়। এর মাঝে একাংশ শাসক দলের ক্ষমতা খাটিয়ে বেআইনি মাদক বানিজ্য, চিনি পাচার বাণিজ্যের সাথে উতপ্রত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। তার মধ্যেই আবার দুই পরস্পর বিরোধী গ্যাং এর আতঙ্ক। বিশালগড় বাসী আদৌ নিশ্চিন্ত হয়ে ঘুমবে কি করে ? এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী যদি বিশালগড়ের ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে আগামী দিনে কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন না করেন তবে তার খেসারৎ দল কেও দিতে হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।