Kamalpur Bjp News : ত্রিপুরায় শাসক বিজেপির আভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দল নতুন বিষয় নয়। এরা সুযোগ পেলেই একে অপরকে ছিঁড়ে খাচ্ছে। দিকে দিকে তার অজস্র নমুনা নিত্যদিনই চোখে পরে। প্রকাশ পায় খবরের পাতায়। আর এবার একেবারেই নিত্য নৈমিত্তিক ভাবে এই গোষ্ঠী কোন্দলের ছবি ধরা পড়েছে কমলপুর থেকে।
এবারের ঘটনার মধ্যমনী জেলা পরিষদের সভাধিপতির স্বামী। ঘটনা কমলপুর থানাধিন পূর্ব লাম্বুছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে। গত এগারো জুলাই কমলপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পূর্ব লাম্বুছড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌতম ঘোষ গত সাত জুলাই পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ড কন্দপাড়ায় গিয়ে এক বাড়িতে একটি নাবালিকা কন্যাকে জাপ্টে ধরে অসৎ উদ্যেশ্য চরিতার্থ করার চেষ্টা করে ।
এই অভিযোগ তুলে ১১জুলাই নাবালিকার মা কমলপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। গৌতম ঘোষ শুধু পূর্ব লাম্বুছড়া পঞ্চায়েতের উপ প্রধান নয় সে আবার বারো নং শক্তি কেন্দ্রের কনভেনারও । কিন্তু তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগটি মিথ্যা বলে প্রকাশিত হয়।
ঘটনা হলো গৌতম ঘোষ কমবয়সী ততসঙ্গে সে হলো মদ্যপ। সে আকণ্ঠ মদ্যপান করে কন্দপাড়া এক বাড়িতে ৭ জুলাই মদমত্ত অবস্থায় গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে। বাড়িতে তখন ছিল ষোলো বছরের একটি নাবালিকা মেয়ে। পিতামাতা বাড়িতে ছিলোনা। মেয়েটি উপ প্রধানের এমন অবস্থা দেখে ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে চলে যায় । বিকালে যখন তার পিতামাতা বাড়িতে আসে তখন ঘটনা জানায়। তখন তারা গৌতমকে ঘর থেকে বের করে দেয়।
এবার এই ঘটনার খবর পেয়ে ধলাই জেলাধিপতি সুস্মিতা দাস ‘র স্বামী বিবেক দাস ঐ বাড়িতে গিয়ে নাবালিকার মাকে বোঝায় থানায় মামলা করতে। তাহলে পাঁচ লক্ষ টাকা পাইয়ে দেবে। মেয়েটির মা প্রলোভনে পা দিয়ে থানায় মামলা করে। সেকথা মহিলা ক্যামেরার সামনে নিজেই বলেছেন।
এখন প্রশ্ন হলো জেলা সভাধিপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা একজন মহিলার স্বামী যদি নিজেই এভাবে দলের অপর কর্মীর নামে বদনাম ছড়ায় তাহলে একে গোষ্ঠী কোন্দল না বলে আর কি বলা যায়? পাশাপাশি একজন মদ্যপকে উপ প্রধান ও কনভেনার ‘র দায়িত্ব দিয়ে দলও কি ঠিক করেছে? আসলে ওজন বুঝে ভোজন না করে অযোগ্য বেক্তিকে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসালে যা হয় , কমলপুরে ও তাই হয়েছে।