Bagbasa Forest Department : বেআইনি কাঠ পাচারে থাবা বসালো উত্তর ত্রিপুরা জেলার বাগবাসা বন দপ্তর। উদ্ধার করা হল বিপুল পরিমাণে অবৈধ কাঠ। সঙ্গে আটক কাঠ পাচারে ব্যবহৃত গাড়ি।
রাজ্যের যত্র তত্র অবৈধভাবে কাষ্ঠ পাচার বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে পড়ছে একাংশ বন দস্যু। রাজ্য থেকে বহিরাজ্যে চৌরা দামে বিক্রি হচ্ছে কাঠ। আর তার ফলে স্থানীয় বনাঞ্চল জুলি ধ্বংস প্রায় হয়ে পড়ছে। অতঃপর বনু দস্যুদের এই চোরাই কাঠ পাচারে লাগাম টানতে নানা ভাবে অভিযান চালাচ্ছে ফরেস্টার রা।
জানা যায় , সোমবার ভোররাতে গোপন খবরের ভিত্তিতে উত্তর হুরুয়া এলাকায় এক চমকপ্রদ অভিযান চালিয়ে চেরাই করা বিপুল পরিমাণ সেগুন কাঠ সহ একটি বোলেরো গাড়ি কে আটক করতে সফল হয়েছে বাগবাসা বন দপ্তরের কর্মীরা।
এদিনের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন ধর্মনগর মহকুমার বন দপ্তরের আধিকারিক অশোক কুমার, ছিলেন রেঞ্জার অফিসার সুপ্রিয় দেবনাথ, চুরাইবাড়ি ফরেস্ট বিট ইনচার্জ আশুতোষ মালাকার ও লালছড়া ফরেস্ট বিট ইনচার্জ অভিজিৎ দাস প্রমুখ।
জানা গেছে, গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই এদিন ভোর আনুমানিক ৪টা নাগাদ বন কর্মীরা উত পেতে বসে থাকেন নির্দিষ্ট এলাকায়। তথ্য অনুযায়ী TR02L1557 নম্বর যুক্ত একটি বোলেরো গাড়িতে করে কাঠ পাচার করার খবর পান তারা।
আর সেই মতোই সকাল প্রায় সাড়ে ৫টা নাগাদ চোরাই কাঠ বোঝাই করে একটি সাদা রঙ্গের বোলেরো গাড়ি কালাছড়া ব্লক রোড সংলগ্ন এলাকা পারাপার করতে গিয়েই বন কর্মীদের হাতে আটক হয়। অবশ্য তৎক্ষণাৎ গাড়ি চালক গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়।
এদিকে গাড়ি টিকে জব্দ করার পর উদ্ধার হয় প্রায় ৭০টি বিভিন্ন মাপের চেরাই করা সেগুন কাঠ। যার বাজারমূল্য হবে আনুমানিক এক লক্ষ টাকা। বন দপ্তরের প্রাথমিক অনুমান কাঠগুলো কোনও সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে বেআইনিভাবে কেটে আনা হয়েছে এই চেরাই কাঠ গুলো এবং তা অসমে পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
শেষ খবর পাওয়া অব্দি গাড়িটি বন দপ্তরের জেলা কার্যালয়ে রয়েছে বলে জানা গেছে এবং বন সংরক্ষণ আইনে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে গোটা ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চালাচ্ছেন বন কর্মীরা । এর সাথে কে বা কারা জড়িয়ে তা উদ্ঘাটন করার চেষ্টা ও চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।