Biplab Kumar Deb Rath Yatra : আষাঢ় মাস মানেই রথযাত্রার আনন্দ। সেই আনন্দে মাতোয়ারা গোটা ত্রিপুরা। উৎসবের রঙে রঙিন হয় শহর ও গ্রাম, ধর্মীয় আবেগে মুখর হয় জনতা। সেই আবহেই এ বছর বাইখোরার ইসকন পরিচালিত জগন্নাথ মন্দিরের রথযাত্রায় দেখা গেল এক অভিনব দৃশ্য — ভক্তির মাঝে জড়িয়ে গেল রাজনীতি, আর তাও বিজেপি শাসিত সরকারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সরাসরি কমিউনিজমের রেফারেন্সে!
রথের রশি হাতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব। সাধারণ ভক্তের মতো নয়, যেন তিনি এসেছেন এক রাজনৈতিক বার্তা নিয়েই। শোভাযাত্রার মাঝেই শোনা গেল তার মুখে পরিচিত রাজনৈতিক বক্তব্য। প্রসঙ্গত, ২৫ বছরের দীর্ঘ বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বিজেপি ক্ষমতায় আসে। সেই সময়ের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিপ্লব কুমার দেব। তার পর থেকে নানা সময়ে তার বক্তব্য শিরোনাম তৈরি করেছে। কখনও গুগল, কখনও মহাভারতের ইন্টারনেট — আর এবার রথেও এলো কমিউনিজম!
মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজনীতির চেয়ে খবরে ছিলেন তার বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য—মহাভারতে ইন্টারনেট ছিল, এমন দাবিই তো নজির!
ত্রিপুরার উন্নয়ন নয়, নিজস্ব প্রচারেই বেশি মনোযোগী ছিলেন, এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।
রথ টানার মঞ্চেও যদি রাজনীতি ঢুকে পড়ে, তাহলে সেটাই বিপ্লব দেবের স্বভাবসিদ্ধ চর্চা—ভক্তি নয়।
২৫ বছরের বাম শাসন সরালেও, বিকল্প হিসেবে স্থায়ী ও স্থিতিশীল নেতৃত্ব দিতে পারেননি—বিজেপি শিবিরেই একসময় অস্বস্তির নাম হয়ে ওঠেন।
জনগণের সমস্যার চেয়ে ব্যক্তিগত প্রচারে বেশি মনোযোগ—এটাই তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় অভিযোগ।
বিপ্লব দেবের রাজনৈতিক পথ যেন গুগলের মতোই ঘুরপাক খায়—নিশ্চিত দিশা নেই, শুধু দৃষ্টিকটুভাবে নজর কাড়ার চেষ্টা!
রথযাত্রা একটি সর্বজনীন উৎসব। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাই এখানে ভক্ত হয়ে আসেন। বিপ্লব বাবুও এসেছিলেন রথ টানতে, তাতে রাজনীতি মিশে গেলে সেটা তার একান্ত ব্যক্তিগত।
রথযাত্রা হোক বা রাজনৈতিক মিছিল, বিপ্লব বাবুর বক্তব্যে রয়ে গেছে সেই পুরনো তেজ।কাজের চেয়ে কথাতেই বেশি চর্চিত বিপ্লব দেব। তবে এবার ব্যাকগ্রাউন্ডে ছিল ঢাক-ঢোল আর ‘জয় জগন্নাথ’-এর স্লোগান।