Manab Debbarma : দুষ্কৃতিকারীদের আক্রমণে গুরুতর আহত প্রাক্তন উপপ্রধান এবং উনার ছেলে। উল্লেখযোগ্য বিষয় এই দুষ্কৃতী আরও কেউ নয় বরং খোদ এক বিধায়ক এর দেহ রক্ষী।
জানা গেছে শনিবার কৃষ্ণনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান রতন দাস কে ফোন করে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বিক্রমনগর গ্রাম পঞ্চায়েত সংলগ্ন রাস্তার পাশে নিয়ে যায় গোলাঘাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তিপ্রা মথা দলীয় বিধায়ক মানব দেববর্মার দেহরক্ষী সমৃত লস্কর ও তার সাঙ্গপাঙ্গ। তার সহযোগীরা ছিল দিপেশ দেব, বিজন দাস ওরফে লিটু । পূর্ব শত্রুতার জেরেই নাকি এই আক্রমণ চালায় তারা।
অতঃপর আক্রান্ত প্রাক্তন উপ প্রধান রতন দাস কে বাঁচাতে পুনরায় দুষ্কৃতী দের হাতে আক্রান্ত হয় তার ছেলে। রতন দাস গুরুতর ভাবে আহত হয়, হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায় উনার একটি পা ও হাত ভেঙ্গে গেছে । ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করতে পেরে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনার মাস্টারমাইন ্গোলাঘাটির বিধায়ক মানব দেববর্মার দেহরক্ষী সমৃত লস্কর কে আটক করে গণধোলাই দেয়।
এদিকে শনিবার রাতেই প্রাক্তন ঊপপ্রধান রতন দাসের পরিবারের পক্ষ থেকে গোলাঘাটির বিধায়ক মানব দেববর্মার দেহরক্ষী সমৃত লস্কর সহ বিজন দাস এবং দীপেশ দেবের বিরুদ্ধে লিখিত আকারে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করা হয় বলে খবর । পুলিশ শনিবার রাতেই ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক তদন্ত করে গিয়েছে, তবে দোষীরা এখনো অধরা ।
অভিযোগ বিধায়ক মানব দেববর্মার দেহরক্ষী সমৃত লস্কর রতন দাস সহ উনার পরিবারকে নাকি দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আরো অভিযোগ বিধায়কের দেহরক্ষী সমৃত লস্কর বিক্রম নগর পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু উশৃঙ্খল ব্যক্তিদের সাথে মেলামেশা করে এবং বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জনকে হুমকি দিয়ে বেরায়। এখন দেখার বিষয় তিপ্রা মথা দলীয় বিধায়ক এর এর কুখ্যাত দেহরক্ষীর বিরুদ্ধে পুলিশ কি প্রকার ব্যবস্থা গ্রহন করে।