CPIM celebrates Mau tse tung birthday

রাজ্যে মাও সে তুং এর জন্ম দিবস পালনে ব্যস্ততা বামেদের

বামেদের মাঝে বৃহস্পতিবার দেখা গেল মাও ৎসে তুং এর জন্ম দিবস পালনে চরম ব্যস্ততা। মাও ৎসে তুং, যিনি নাকি চীন সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের মহান নেতা ছিলেন। মাও সে তুং এর ২৬শে ডিসেম্বর ছিল 132 তম জন্মদিন । এদিন উনার জন্ম দিবস উদযাপন করা হল সিপিএম রাজ্য দপ্তরে । উপস্থিত ছিলেন সিপিএম রাজ্য নেতা পবিত্র কর সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা । উল্লেখ্য, মাও ৎসে তুং ছিলেন একজন চীনা সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবী, মার্কসবাদী তাত্ত্বিক ও রাজনৈতিক নেতা । ১৯৪৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১৯৭৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি চীন শাসন করেন। তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে একজন এবং ১৯৪৩ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত দলের প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। মার্কসবাদ-লেনিনবাদে তার তাত্ত্বিক অবদান, সমর কৌশল এবং তার কমিউনিজমের নীতি এখন একত্রে মাওবাদ নামে পরিচিত এবং উনাকে গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের “জাতির জনক” ও বলা হয়।
একটা সময় ছিল, “ হিন্দি চিনি ভাই ভাই “ বললে বোঝা যেত ভারত ও চিন দেশের বন্ধু সুলভ সম্পর্কের কথা। কিন্তু বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে ভারতের সাথে চিনা দেশের সম্পর্ক ঠিক সেই আগের জায়গায় নেই। এক প্রকার অঘোষিত শত্রু পক্ষে পরিনত হয়েছে চিন, এটা বললে খুব একটা ভুল হবে না। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্তে দখল দারি বজায় রাখছে চিন। ধীরে ধীরে ভারতের ভূমি তে দখল বসাতে চাইছে তারা।
এদিকে রাজ্য বামফ্রন্টের কথা বললে, আগে থেকেই একের পর এক ধাক্কা খেয়ে সামলে উঠা দায় হয়ে উঠেছে তাদের জন্যে। এই অবস্থায় দল কে শক্তিশালী ও সঙ্গবদ্ধ করার ক্ষেত্রে রাজ্যের যুব শক্তি কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কিংবা দলের বেশ কিছু গুরু দায়িত্বে নতুন প্রজন্ম কে অগ্রাধিকার দেওয়ার মত বিষয় গুলি কে নিয়মিত ভাবেই উপেক্ষা করে বিদেশী চিনা নেতার জন্ম দিবস পালনে সময় অতিবাহিত করছে দল। এ যেন সময়ের দাবী নয়।
দলের নিজস্ব নীতি অনুযায়ী এই কর্মসূচী পালিত হয়েছে। কিন্তু আদৌ কি তা রাজ্য রাজনীতি বা দেশীয় রাজনীতি তে কোনো প্রভাব বিস্তার করে ? এই প্রজন্ম কেন জানতে চাইবেন চিনা নেতার বিষয়ে ? ইতিহাস জানা জরুরী। তবে নিজের অবস্থান শসক্ত করে তবেই।

Leave A Reply