DYFI and TYF press meet
নেশা , বেকারত্ব, বিজপির অরাজকতা নিয়ে প্রশ্নবাণ ছাত্র সংগঠনের
ডি ওয়াই এফ আই ও টি ওয়াই এফ ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে আজ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে শাসক বিজেপির বিরুদ্ধে এক রাশ ক্ষোভ উজার করে দেওয়া হল ক্যামেরার সামনে। তিন দফা দাবী নিয়ে এক গণ কনভেশন সংগঠিত করছে বামেরা। এর মধ্যে মূলত রয়েছে রাজ্যের বেকারত্বের সমস্যা নিরসন, রাজ্যে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা ও নেশা এবং নেশা কারবারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহন। গত ১১ই নভেম্বর আগরতলায় রাজ্য ভিত্তিক গণ কনভেশান সাঙ্গ হবার পর এখন রাজ্য ব্যাপি বিভাগ ভিত্তিক কনভেশান চলছে। এর পর শুরু হবে আন্দোলন কর্মসূচী।
এদিন সাংবাদিক সন্মেলন করে ডিউয়াইএফআই এর রাজ্য সভাপতি নবারুন দে শাসক বিজেপি শিবির এর তুমুল সমালোচনা করেন। রাজ্যে মানুষ অনাহারে অর্ধাহারে দিন গুজরান করছেন। নেই কর্মসংস্থান। শিক্ষিত বেকার দের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। তার চাইতে ও বেশি ভাবাচ্ছে নেশার প্রসার। যুব সমাজ কে গোঁড়া থেকে অচল করে দিচ্ছে এই নেশা । আর তার পেছনে রয়েছে খোদ শাসক শিবিরেরই কিছু তাবড় তাবড় নেতা। ওদিকে সব কিছু জেনেও অজানা ভাব পুলিশ বাবুদের। আজ পর্যন্ত একজন ও নেশা কারবারের মাস্টার মাইন্ড কে ধরতে পারেনি ত্রিপুরা পুলিশ। আর্থিক লেনদেন এর পরিবর্তে সবটা কি তবে আড়াল হয়ে যাচ্ছে ? এই প্রশ্ন টা অবশ্য উঠে আসছে বিভিন্ন মহল থেকেই।
এছাড়া ও বিদ্যালয় গুলিতে শিক্ষক স্বল্পতা চরম পর্যায়ে। বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পাধীন স্কুল গুলিতে শিক্ষক নিয়োগের ভাউতাবাজি করেও অবশেষে নিয়োগ করা হল না। এই সরকার জনদরদীর মুখোশ পরে আসলে মানুষ কে ঠকাচ্ছে। কার্যত মানুষ বোকা হয়ে বসে আছে। নিরুপায় হয়ে বসে আছে।
এই অবস্থায় একত্রিত হয়ে এই স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে। রুখে দাড়াতে হবে নেশা বাণিজ্যের বিরুদ্ধে, এই সরকারের অরাজকতার অবসান না ঘটা অব্দি থামবে না বামেরা। এমনটাই বার্তা মিলছে বারংবার ।