CPIM looking for PK
পিকে র মতো কাউকে চাই , ভরাডুবি হবার আগে রাজনৈতিক রণক্ষেত্রে নয়া চাল বামেদের
দেশের কোথায় কোথায় অস্তিত্ব টিকে আছে ? সেই প্রশ্ন তুললে উত্তর দিতে অবশ্য কিছুটা গ্লানি হবে বামেদের। যে দল ব্রিটিশ শাসিত ভারতের আমল থেকে শ্রমজীবী মানুষের হয়ে লড়াই করে গেছে বলে দাবী করেন , তাদের কে দেশের কোনো রাজ্যেই ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকতে দিচ্ছে না জনগণ। ভোট বাক্সের গণনা হিসেব করলে অবশ্য এমনটাই বলেন অন্য রাজনৈতিক দল গুলো। কিন্তু সভা, মিছিল, জনসমাবেশ – কোথাও তো জনসমর্থনের অভাব দেখা যায়না। তবে ভোট বাক্সে কেন ভোটের অভাব ? সমর্থন কারী রা ভোট বাক্স অব্দি পৌছাতে পারেন না, নাকি ভোটের আবহে রাজনৈতিক ক্ষেত্র সাঁজাতে দলের ব্যর্থতাই জনগণের সমর্থন হারানোর অন্যতম কারণ ?
এই বিষয় গুলিই হয়তো দলের সর্বোচ্চ স্তরে এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আলোচনার অন্যতম বিষয়। আর তাই এবার দল কে সঠিক দিশায় এগিয়ে নিয়ে যেতে একজন “ভোট কুশলীর “ খোঁজ চালিয়েছেন সিপিআইএম।
দলের রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিম সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন কিছু লোক নিযুক্তির কথা। তার মধ্যে প্রথম পদটি রয়েছে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষকের জন্যে। একই পন্থা অবলম্বন করেছিল তৃনমূল। ২০২১ এ তৃনমূলের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হয়ে কাজ করেছিলেন প্রশান্ত কিশোর । তাতে অনেকটাই সফল হয়েছিল দল। এবার সেই পিকে (প্রশান্ত কিশোর) এর ধাচেই দল ও সংগঠন কে শক্তি জোগাতে প্রয়াস চালাচ্ছেন সিপিএম দলের রাজ্য সম্পাদক।
নতুন প্রজন্ম কে সুযোগ দিয়ে দেখা হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টে পশ্চিমবঙ্গে তৃনমূল ও বিজেপির অঘোষিত মিতালী আর লোক দেখানো যুদ্ধের ময়দানে কোথাও যেন হাড়িয়ে গেছে বামেরা। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে আরও করুন দশা পশ্চিমবঙ্গ বামফ্রন্টের। কেন ঘুরে দাড়াতে পারছেন না ? এই বিতর্কেই উত্তাল আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি। তাই এবার আরও একবার দল কে সুসংগঠিত ও শক্তি শালি করে তোলার প্রয়াস চালানোর চেষ্টা। তবে এ যাত্রায় যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করেই উপযুক্ত পদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। যদিও তার ফল আদতে কতটা পাবে দল , সেটা সময় সাপেক্ষ বিষয়।