Pahela Boishak vibe in Tripura
বাংলা নববর্ষ মানে সকল বাঙ্গালীর কাছে একটা আবেগের বিষয়। নতুন বছরের সাথে নতুন কিছু স্বপ্ন , আশা, ইচ্ছে পূরণের দাবী মায়ের চরণে অর্পণ করা। সকাল সকাল স্নান সেরে যার যার স্থানীয় জাগ্রত দেব দেবীর মন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়া আর ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করা যেন গোটা বছর সুখ , শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠে।
যুগ পাল্টেছে। আর তার সাথে সাথে নববর্ষ উদযাপনের ধরণ ও অনেকটা পাল্টেছে। পাল্টায়নি শুধু বাঙ্গালীর বাঙ্গালিয়ানা। আর তার পাশাপাশি বহাল তবীয়তে আছে ব্যাবসায়িক দের ১লা বৈশাখে নতুন হালখাতা যাত্রার রীতি।
বাংলা শুভ নববর্ষ উপলক্ষে ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার লক্ষ্মী নারায়ন বাড়ি প্রাঙ্গনে হালখাতা যাত্রা করতে বসেছেন পুরোহিতরা। আর সেখানেই বিভিন্ন জায়গা থেকে দোকানিরা আসছেন তাদের হাল খাতা যাত্রা করাতে। তার পাশাপাশি ভক্তরা লক্ষ্মীনারায়ণ বাড়ির মন্দিরে পূজো দিতে জমিয়েছেন ভিড়। স্বাভাবিক ভাবেই নববর্ষ বলে কথা। বছরের প্রথম দিন টা পূজো আচ্চা দিয়ে শুরু না করলেই নয়। তাই শহরাঞ্চলের কোণা কোণা থেকে ভক্তবৃন্দের সমাগম দেখা যাচ্ছে আজ মন্দির প্রাঙ্গনে। কড়া রোঁদের মাঝেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে পুজো দিচ্ছেন ভক্তরা।
আর শুধু কি তাই, প্রতিবারের মতোই এবার ও আগরতলা স্থিত লক্ষ্মী নারায়ন মন্দির প্রাঙ্গনে এবারেও বিরাট মেলার আয়োজন করা হয়েছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই চোখে পড়বে বিরাট মেলার সমাহার।
মন্দির প্রাঙ্গনে পুজো দিতে এসে দর্শনার্থীরা জানান, প্রতি বছরই তারা ১লা বৈশাখ দিনটি মন্দিরে পূজার্চনার মধ্যে দিয়ে শুরু করে থাকেন। এবারেও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। শুধু লক্ষ্মী নারায়ন মন্দিরেই নয়, রাজ্যের সবকটি মন্দিরেই আজ প্রচুর জনসমাগম চোখে পড়ার মতো। আর সব চাইতে বেশি ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে আজ ত্রিপুরার একমাত্র শক্তি পিঠ উদয়পুর মাতা ত্রিপুরা সুন্দরী মায়ের মন্দিরে। সকাল থেকে প্রচুর ভিড় চোখে পড়েছে সেখানে। সারাদিন ব্যাপি এজ এই চিত্রই চোখে পড়বে।
তবে নববর্ষ দিনটি যে শুধু মাত্র ঈশ্বরের আরধনায় কাটাবেন বাঙ্গালিরা এমনটা কিন্তু নয়। সকাল এ দেব দেবীর পূজার্চনা সেরেই আয়োজন শুরু হয়ে গেছে পেট পুজোর ও। গৃহিণীদের চুলোয় আজ রকমারি রান্নার সম্ভার। আর বাংলা নববর্ষ মানে ভুঁড়িভোজ । আর এই ভুঁড়ি ভোজে প্রথমেই থাকছে বাংলার টাটকা ইলিশ মাছ। ইলিশ ছাড়া তো নববর্ষের স্বাদই জমে না বহু বাঙ্গালী ঘরে। আর তার সাথে আরও নানা পদের সবজি, ভাজা তো থাকবেই। অবশেষে মিষ্টি আর দই হলেই একেবারে কমপ্লিট মেন্যু।
১৪৩১ বাংলা নববর্ষের শুরু টা যেন সবার ভালো হয় আর বছরের বাকি ৩৬৪ টা দিনও যেন সবার উপর করুণাময়ীর কৃপা থাকে সেই প্রার্থনাই করি আমরা ও। শুভ নববর্ষ শুভ হোক সবার জীবনে।