North East BJP Fund Source : বিজেপির তহবিল ফুলে ফেঁপে একাকার। কোথা থেকে আসছে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ ? জানলে এবার আপনি ও ভির্মি খাবেন। সম্প্রতি দ্যা রিপোর্টারস কালেক্টিভ এর একটি তথ্য প্রকাশ পেতেই বেড়িয়ে এসেছে বিজেপির কোষাগারে গচ্ছিত থাকা অর্থ রাশির মূল উৎসের ঠিকানা।
বিগত কয়েক বছরে বিজেপি কে ফান্ড যুগিয়েছে খোদ সরকারি বরাত প্রাপ্ত সংস্থা গুলো। যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন কনস্ট্রাকশান কোম্পানি সহ বরাত প্রাপ্ত ঠিকেদার দের নাম। প্রসঙ্গত বিহারের ভাগল পুড়ে ২০২৩ সালে নির্মীয়মাণ একটি ব্রিজ ভেঙ্গে পড়েছিল। জানা গেছে সেই ব্রিজ এর বরাত পাওয়া কোম্পানি ও বিজেপি কে ৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে। অর্থাৎ সরকারি কাজের বরাত পেতে সরকার কেই বিশাল অঙ্কের টাকা দিচ্ছে সংস্থা গুলো। আবার সেই টাকা আসছে সরকারি ফান্ড থেকেই। মূলত জনসাধারন এর অর্থ যা দিয়ে উন্নয়ন মূলক কাজ হবার কথা সেই থাকা থেকেই একটা অঙ্ক যাচ্ছে দলের তহবিলে।
শুধু তাই নয় গোটা দেশের মধ্যে উত্তর পূর্বাঞ্চলের আসাম, মণিপুর, অন্ধ্র প্রদেশ তো বটেই তার সাথে ত্রিপুরা রাজ্যেও বিজেপির কোষাগারে কোটি কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে সরকারি কাজেরই বরাত পাওয়া বিভিন্ন কোম্পানি গুলো। ২০২৩ -২৪ অর্থ বর্ষে যার পরিমাণ ছিল প্রায় ৬১.৭%। এছাড়াও চেক কিংবা অনলাইন ট্র্যান্সফার এর মাধ্যমে ৩ রাজ্য থেকে ৭৭.৬৩ কোটি টাকা অনুদান পায় বিজেপি।
ত্রিপুরার মন্ত্রী সভার এক মন্ত্রী কিছুদিন আগেই অফ ক্যামেরায় বেফাঁস বলে ফেলেছিলেন যে কনট্রাক্টার রা প্রায় সময় মন্ত্রীদের তহবিলে তাদের ইচ্ছে মতো অর্থ করি দিয়ে যান। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই উনি তেলে বেগুনে জ্বলে ও গেছিলেন আবার। কিন্তু সেই উক্তি গোটা রাজ্য রাজনীতি তে এক প্রকার আলোড়ন ফেলে দেয়। দ্যা রিপোর্টারস কালেক্টিভ এর তথ্য যেন এবার মন্ত্রীর সেই বক্তব্য কেই স্বীকৃতি দিচ্ছে।
সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ এর বরাত পাওয়া বাবদ বিভিন্ন কোম্পানি ও ঠিকেদাররা সরকারি অর্থেরই একটা অংশ জমা দিচ্ছে বিজেপির তহবিলে। কারণ সরকারি কাজের বরাত পেতে গেলে সরকার কে খানিকটা খুশি না করলে কি আর চলে ? এবার সেটা অর্থের বিনিময়েই যদি হয় তাতে ক্ষতি নেই। বরং সরকারি কাজের টেন্ডার নিয়ে সেই কাজ করে মুনাফা কামাই হবে। যদিও সেই স্থাপত্ত কতদিন মেয়াদের হবে সেটা উহ্যই থাক। তাই অর্থ দিয়েই অর্থের কামাই এর এই প্রক্রিয়া চলছে। যার পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে দ্যা রিপোর্টারস কালেক্টিভ। ইলেক্টোরাল বন্ড বন্ধ হয়ে গেলেও এই অর্থ আমদানির পথ বন্ধ হবে কিভাবে , সেটাই প্রশ্ন।
আরও উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে সেই অর্থ আম জনতার ট্যাক্স এর টাকা। অর্থাৎ আপনার অজান্তেই আপনার স্বীকৃতি ছাড়াই আপনার ট্যাক্স এর টাকা চলে যাচ্ছে একটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কোষাগারে। যা ক্রমশই শক্তিশালী করে তুলছে বিজেপি দল কে।



