Kailasahar Congress News : কৈলাসহরে সরকারি কাজে মাফিয়ারাজের অবসানের দাবিতে কৈলাসহর ব্লক যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে মঙ্গলবার শহরজুড়ে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে কংগ্রেস ভবন থেকে সমর্থকদের একটি মিছিল বেরিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রথমে স্থানীয় পূর্ত দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে সাত দফা দাবি-সংবলিত ডেপুটেশন প্রদান করে। পরে পুনরায় মিছিলের মাধ্যমে প্রতিবাদকারীরা কৈলাসহর থানায় পৌঁছে ওসি-এর নিকটও ডেপুটেশন জমা দেন।
এদিনের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন কৈলাসহরের বিধায়ক বিরজিত সিনহা, ঊনকোটি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মো. বদরুজ্জামান, কংগ্রেস নেতা রুদ্রেন্দু ভট্টাচার্য, নর সিংহ দাস, দ্বীপ সিনহা, কাপুর রাজ সিনহা সহ আরও অনেকে। যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে টেন্ডার প্রক্রিয়া ঘিরে একপ্রকার মাফিয়া চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যা শহরের শান্তি-সম্প্রীতিকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
ডেপুটেশন শেষে মো. বদরুজ্জামান অভিযোগ করেন, রাজ্যের শান্তিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত কৈলাসহরে গত কয়েক মাস ধরেই টেন্ডার সংক্রান্ত নানা দ্বন্দ্ব, হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা বেড়েছে। তাঁর দাবি, টেন্ডার অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পর যে ঠিকাদার কাজ পাচ্ছেন, ডিকল মানি জমা দিতে এলে তাঁদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। এমনকি কিছু ক্ষেত্রে ঠিকাদারের বাড়িতেও হামলার অভিযোগ উঠেছে। কংগ্রেস সভাপতির মতে, বিজেপির স্থানীয় একাংশ এই নৈরাজ্যের জন্য দায়ী।
তিনি আরও বলেন, কৈলাসহরের ঐতিহ্য ও শান্ত পরিবেশকে নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। প্রশাসনের উচিত অবিলম্বে এই মাফিয়ারাজ বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তা না হলে কংগ্রেস দল আগামিদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
যদিও ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের আমলে টেন্ডার প্রক্রিয়া, ঠিকাদারি কাজ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার কিছু ক্ষেত্রে মাফিয়ারাজ ও চাপ সৃষ্টি–সংক্রান্ত ঘটনাগুলো বেড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
কৈলাসহরে টেন্ডার প্রক্রিয়া ঘিরে উদ্ভূত মাফিয়ারাজ ও ধারাবাহিক হিংসার ঘটনায় স্থানীয় মানুষের উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে আয়োজিত আন্দোলন শুধু রাজনৈতিক প্রতিবাদ নয়, বরং অঞ্চলের শান্তি ও স্বাভাবিক প্রশাসনিক কর্মকাঠামো পুনরুদ্ধারের দাবি হিসেবে সামনে এসেছে।
প্রতিবাদকারীরা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন—সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে জনস্বার্থ রক্ষার্থে আরও বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। শান্ত নগরী কৈলাসহরের সম্মান ও স্থিতি বজায় রাখতে প্রশাসনের সক্রিয় ভূমিকা এখন সময়ের দাবি।



