West PS News : মোবাইল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ও ধারাবাহিক পুলিশি পদক্ষেপের ফলে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় নিখোঁজ হওয়া মোট ২৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে জেলা পুলিশ। রবিবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানান পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক।
পুলিশ সুপার জানান, গত কয়েক মাস ধরে জেলার বিভিন্ন থানায় মোবাইল হারানোর বহু জিডি এন্ট্রি জমা হয়েছিল। এর মধ্যে ২২টি মোবাইল ফোন সিআইআর পোর্টালের মাধ্যমে ট্র্যাক করে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ফোনগুলোও বিভিন্ন সূত্র ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় খুঁজে পাওয়া যায়। সবকটি ফোনই প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
নমিত পাঠক বলেন, “এগুলো চুরি হওয়া ফোন নয়, বরং বিভিন্ন থানায় মিসিং রিপোর্ট করা হয়েছিল। কেউ বাজারে কিংবা জনবহুল এলাকায় ফোন হারিয়েছেন—তেমনই নানা ঘটনার ভিত্তিতেই এসব রিপোর্ট নথিভুক্ত হয়েছিল। উদ্ধার হওয়া ফোনগুলোর কিছু চমন নগরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পুনরুদ্ধার করা হয়েছে।”
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি আরও জানান, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে হারানো ফোন উদ্ধারের হার বেড়েছে। তবে এর পাশাপাশি তিনি নাগরিকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে সাইবার ক্রাইমের ক্রমবর্ধমান ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন থাকার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন পুলিশ সুপার।
তার কথায়, “বর্তমানে সাইবার অপরাধ অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাড়ছে। তাই ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা, অজানা লিঙ্কে ক্লিক না করা, এবং ফোন হারানোর সঙ্গে সঙ্গে থানায় জিডি করা—এসব বিষয়ে সকলেরই সতর্ক থাকা জরুরি।”
পশ্চিম ত্রিপুরা পুলিশের এই উদ্যোগে সাধারণ মানুষের আস্থা আরও বাড়বে বলেই আশা করছে প্রশাসন।
পশ্চিম ত্রিপুরা পুলিশের উদ্যোগে হারানো ২৭টি মোবাইল ফোন সফলভাবে উদ্ধার হওয়া শুধু প্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতারই প্রমাণ নয়, নাগরিক নিরাপত্তা ও জনসেবার প্রতি পুলিশের দায়বদ্ধতারও স্পষ্ট উদাহরণ। সাইবার অপরাধ বেড়ে চলা সময়ে এমন উদ্যোগ মানুষকে আরও সচেতন হতে সাহায্য করবে এবং প্রশাসনের প্রতি আস্থা বাড়াবে।



