Sonamura NC Nagar News : সোনামুড়া এনসি নগর দাওধারানি সীমান্ত এলাকায় এক স্কুল পড়ুয়া কে নেশা জাতীয় সিরাপ সমেত আটক করার ঘটনায় উত্তেজনা চরমে। অভিযুক্তের নাম শাহিনুর ইসলাম । তাকে ৫৪ বোতল এস-কাফ সিরাপ সহ বিএসএফ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করেই বুধবার দুপুর ১২টা থেকে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এই নিয়ে সোনামুড়া ব্রিজ চৌমুনীতে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধে নামেন স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুল ছাত্ররা। তাদের অভিযোগ একজন নির্দোষ ছাত্রকে পরিকল্পিতভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে অভিযোগ বিক্ষোভকারী দের ।
তাদের দাবি, শাহিনুর ইসলাম নির্দোষ। তাঁকে ভুলবশত অথবা পরিকল্পিতভাবে নেশা বাণিজ্যের কাণ্ডে আটক করেছে বিএসএফ। এই নিয়ে ছাত্রনেতা আক্তার হোসেন জানান, ২৪ তারিখ রাত ৮টা ৩০ মিনিটে টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিএসএফ শাহিনুরকে ধরে এবং তাকে বেধড়ক মারধর করে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় বিএসএফ। তার শরীরে স্পষ্ট সেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আন্দোলনরত ছাত্ররা এনসিআই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে অনুমতি চান, তিনি অনুমতি না দিলে ছাত্ররা স্বেচ্ছায় রাস্তায় নামে এবং অবরোধে যোগ দেয়। এদিন প্রায় তিন ঘণ্টার মতো চলে এই অবরোধ। যার ফলে সোনামুড়া ধনপুর ও সোনামুড়া মেলাঘর রোডে যান চলাচল একেবারে থমকে যায়।
রোডের দুই প্রান্তে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। যার ফলে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান সোনামুড়া থানার ওসি তাপস দাস, এসডিপিও শশী মোহন দেববর্মা সহ পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সোনামুড়া মণ্ডল সভাপতি শুভ্রজিৎ দাস। তিনি বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন,“বিএসএফ, এলাকাবাসী ও পুলিশ একসঙ্গে বসে পুরো বিষয়টি তদন্ত করবে। যদি শাহিনুর ইসলাম নির্দোষ প্রমাণিত হয় তবে তাকে ন্যায়বিচার দেওয়া হবে।”
মণ্ডল সভাপতির এই আশ্বাসের ভিত্তিতেই অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় বিক্ষোভকারীরা এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এখন দেখার বিষয় আশ্বাস অনুযায়ী ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দেখা হয় কিনা। নাকি বিনা দোষেই সাঁজা পেতে হয় শাহিনুর কে।



