Unemployement in India : একসময়ে দেশের যুবসমাজকে বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই প্রতিশ্রুতি এখনও নানা মঞ্চে তুলে ধরেন বিজেপি নেতারা। কিন্তু বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতির কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে? মঙ্গলবার সংসদের কর্মী বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সেই প্রশ্নই বড় হয়ে দেখা দিল।
কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া প্রেজেন্টেশনে জানানো হয়েছে, বিগত ১১ বছরে কেন্দ্র মাত্র ২২ লক্ষ সরকারি পদে নিয়োগ সম্পন্ন করেছে। এই পরিসংখ্যানে সবচেয়ে বড় অংশ রেলের, যেখানে নিয়োগ হয়েছে প্রায় ৫ লক্ষ কর্মী।
এই ১১ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার কত শূন্যপদে নিয়োগ করতে পারেনি, সেই তথ্য চেয়ে বারবার প্রশ্ন তোলেন বিরোধী সাংসদরা। কিন্তু কেন্দ্রীয় দপ্তরের সচিব ও স্টাফ সিলেকশন কমিশনের চেয়ারম্যান কোনও স্পষ্ট তথ্য দিতে পারেননি।
এমনকি, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের পর তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে ঠিক কতজনকে সরকারি চাকরি দেওয়া হয়েছে — ডিএমকে সাংসদ উইলসনের এই প্রশ্নেরও উত্তর মেলেনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনিও এই বিষয়ে সরকারকে জবাবদিহির মুখে ফেলেন।
সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এখন পর্যন্ত ১৬টি রোজগার মেলা আয়োজন করা হয়েছে এবং সেখানে লক্ষাধিক নিয়োগপত্র বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই নিয়োগপত্রগুলির ক’টি বাস্তব চাকরিতে রূপান্তরিত হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিজলাল স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী বৈঠকে সব শূন্যপদের বিস্তারিত তালিকা ও নিয়োগ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়ে হাজির হতে হবে সরকারি প্রতিনিধিদের।
লোকসভা ভোটের আগেই বিরোধীরা বেকারত্বকে অন্যতম বড় ইস্যু করে তুলেছিল। মোদি সরকার সেই চাপ সামাল দিতে রোজগার মেলার আয়োজন শুরু করে। কিন্তু সংসদের স্থায়ী কমিটির সাম্প্রতিক তথ্য ও সরকারি প্রতিনিধিদের অস্পষ্ট জবাবই ইঙ্গিত দেয়, দেশে সরকারি কর্মসংস্থানের বাস্তব চিত্র অনেকটাই হতাশাজনক।