Tripureshwari Nursing Home : প্রশাসনের নির্দেশনা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ফেসে গেলেন এক নার্সিং হোম এর মালিক। অনির্দিষ্ট কালের জন্যে বন্ধ করে দেওয়া হল নার্সিং হোম। ঘটনা বিশাল গড়ে। দুর্বল চিকিৎসা পরিষেবা এবং এক রোগীর অপারেশান করাতে গিয়ে তার চরম ক্ষতি সাধনের ঘটনার ফলেই মূলত আজ এই হোমের ফটকে তালা ঝুলে গেল।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বেশ কয়েক বছর আগে বিশালগড় মহকুমা হসপিটাল সংলগ্ন এই ত্রিপুরেশ্বরী নার্সিং হোম এর চিকিৎসা করাতে গিয়ে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন এক রোগী। অভিযোগ এই নার্সিং হোমে এক রোগীর অপারেশান করাতে গিয়ে চিকিৎসক তার মূত্র নালি কেটে দেয়। যার ফলে গুরতর অসুস্থ্য হয়ে পরে ঐ রোগী।
এই ঘটনা ব্যাপক হারে সমালোচিত হয় এবং এই ঘটনা জানাজানি হতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালা ঝোলানো হয় এই নার্সিং হোমে। বেশ কয়েক বছর যাবত এই নার্সিং হোম টি বন্ধ অবস্থাতেই ছিল। কিন্তু বিগত কিছুদিন যাবত লক্ষ্য করা যাচ্ছে আচমকা এই নার্সিং হোম টি খোলা হচ্ছে। প্রশাসনিক ভাবে কি তবে এই নার্সিং হোম খোলার অনুমতি পেয়ে গেছেন মালিক ? সেই প্রশ্ন উঠতেই এই নিয়ে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়।
অতঃপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায় যে এমন কোনো ধরণের অনুমতি তাদের কে দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে এবং প্রশাসন কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আবারো এই নার্সিং হোম খোলা হচ্ছে। যার পর জেলা শাসক সিদ্ধার্থ শিব জেস্বাল এর নেতৃত্বে অতিসত্বর এই হোম বন্ধের নির্দেশ জারি হয়।
সেই নির্দেশ মুলেই বৃহস্পতিবার, মহকুমা প্রশাসন এর আধিকারিক ডিসিএম প্রসেনজিৎ দাস এর উপস্থিতি তে আবারো পুনরায় অনির্দিষ্ট কালের জন্যে এই নার্সিং হোমের মূল ফটক সিল করে দেওয়া হয়। তবে এই নার্সিং হোম এর মালিক সুকান্ত ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি এখনো কোনো ধরণের আইনি পদক্ষেপ, কেন ? তা যদিও এখন অজ্ঞাত বিষয়।
এদিনের এই অভিযানে মহকুমা প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তী নির্দেশ না আসা অব্দি এই নার্সিং হোম বন্ধই থাকবে বলে জানানো হয়েছে।



