Tipra Motha Party Tripura : শাসক দল বিজেপি থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তিপ্রা মথা। আগামী ২০শে জুলাই এর মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনিত হতে পারে মথা। প্রদ্যুত মানিক্যের সমর্থন মুলেই শাসক শরিক এর পদ থেকে সরে যেতে চলেছে তারা। সাংসদ এর পদ থেকে পদ ত্যাগ করবেন কৃতি দেবী দেববর্মা। সাংবাদিক সন্মেলন ডেকে স্পষ্টীকরণ দিলেন এবার মথা নেতৃত্ব।
আবারো প্রধান বিরোধী দলের তকমা পেতে চলেছে তিপ্রা মথা। শাসক বিজেপির সাথে সরিকি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা আর সম্ভব পর হয়ে উঠছে না। বিজেপি দল তাদের কথা রাখেনি। তিপ্রা মথা শরিক দল হয়েও তাদের দাবী দাওয়া পায়নি কোনো গুরুত্ব। ভিলেজ কমিটির নির্বাচন অব্দি ঝুলে আছে।
এতো কিছু নিয়ে আর শাসক বিজেপির সাথে আপোষ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে আলোচনার মধ্যে দিয়ে খুব শীঘ্রই বিজেপির হাত ছাড়তে চলেছে তিপ্রা মথা। এই সমস্ত অভিযোগ দর্শীয়ে শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠক করে স্পষ্টীকরণ দিয়েছেন মথার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা।
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই শাসক দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে মথা। তবে এর কারণ কি ? এটা কি শুধুই রাজনৈতিক ফায়দা লুটার এক নতুন ফন্দী। কারণ বিজেপির সঙ্গে মথার জোট হওয়ায় অখুশি ছিলেন মথা দলেরই অধিকাংশ সমর্থক। তাই ধীরে ধীরে বহু কর্মী তাদের হাত থেকে বেড়িয়ে বিরোধী দল গুলিতে শামিল হতে শুরু করেছিলেন।
তাদের যে প্রতিশ্রুতি , গ্রেটার তিপ্রা ল্যান্ড তা আদৌ বাস্তবায়িত হবার সম্ভাবনা নেই । তা ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেছিলেন পাহাড়ের তিপ্রাসারা এবং এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে পুনরায় গনমুক্তি পরিষদ তথা জিএমপি পাহাড়ে তাদের সংগঠন বিস্তার করতে থাকায় মথা আরও একবার বিপাকে পরে যায়।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে জিএমপি কে অথবা সিপিআইএম কে পাহাড়ে আটকাতে এই নয়া চাল দিয়েছে মথা। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় তিপ্রা মথার এই নয়া চাল কতদূর গড়ায়।
বাস্তবেই কি তারা শাসক এর সাথে চুক্তি ভঙ্গ করে বিরোধী দলের তালিকায় নাম নথিভুক্ত করে। নাকি সাময়িক কালের জন্যে পাহাড়ে নিজেদের আধিপত্যা বিস্তার করতে এই নয়া কৌশল অবলম্বন করে এবং ২০২৩ এর মতোই আবারো শাসক বিজেপির হাত শক্ত করে তোলে। অন্যদিকে বিরোধী শিবিরই বা এর পরিপ্রেক্ষিতে পাহাড়ে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে কতটা স্বক্রিয় ভূমিকা পালন করে সেটাও দেখার বিষয়।
অন্যদিকে সদ্য মন্ত্রীসভায় নতুন মন্ত্রী রূপে শাসক দলীয় এক নেতৃত্ব কে স্থান দেবার বিষয়ে ইতিমধ্যেই বহু জল ঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বহু আশাবাদী মর্মাহত হয়েছেন। মথা ও আশা রেখেছিল হয়তো তাদের মধ্যে থেকেই কাউকে দেওয়া হবে পারে আরও এক মন্ত্রিত্ব। কিন্তু তা হয়নি। এই নিয়েও কি চাপা ক্ষোভ এর জেরে মথা সরে দাঁড়াবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ? সন্দেহ জাগছে।