Tipra Motha News : যে পাতে খাই, সে পাতেই ছিদ্র করি। বহুল প্রচলিত এই শ্রুতি যেন অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত হচ্ছে রাজ্য রাজনীতি তে। আর এই প্রসঙ্গ উত্থাপিত হচ্ছে সাম্প্রতিক কালে ঘটে চলা বেশ কিছু ঘটনা কে কেন্দ্র করেই।
২০২১ এ মাথা চারা দিয়ে উঠা তিপ্রা মথা দল, ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক জন সমর্থন নিয়ে বিরোধী দলের আসনে এবং পরে রাজ্য সরকারের সাথে শরিক হয়ে এই রাজ্যে বর্তমানে শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত। যদিও তা কেবলই নাম কে ওয়াস্তে। কারণ সরকার শরিক হয়েও রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের তেমন কোনো মুখ্য ভূমিকা নেই।
এডিসি তাদের দখলে বটে, তবুও এডিসির উন্নয়ন করতে গিয়ে নাকানি চোবানি খেতে হয় প্রায়শই। যাই হোক। রাজ্য রাজনীতি কে কে কাকে দাপিয়ে উপরে উঠবে সেটাই প্রতিযোগিতা। কিন্তু যে দল মথা কে সরকারে আসীন হবার সুযোগ করে দিলো সেই দলের সাথেই নেমক হারামি করছে না তো মথা ? এমনটাই এবার উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, দিকে দিকে তিপ্রা মথার দলে যোগ দান কে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিরোধী সিপিআইএম কংগ্রেস তো বটেই, তবে এবার শাসক বিজেপির ঘর ফাঁকা করেও দলে দলে ভোটার দের তিপ্রা মথার পতাকা তোলে সামিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে মথা।
এমনই এক চিত্র উঠে এসেছে এবার সিমনা বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। সিমনার অন্তর্গত বড়কাঁঠাল এলাকার বিজেপি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক, মণ্ডল সহ সভাপতি সহ ৫৩ ভোটার তিপ্রা মথা দলে সামিল হয়েছেন মঙ্গলবার। বলা চলে একেবারে বড় মাপের কোপ বসিয়েছে মথা।
একটি শাসক গোষ্ঠীর সসক্ত সংগঠনের জেলা কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে সভাপতি , সম্পাদক দের নিজের দলে টেনে নেওয়া অবশ্যই তাৎপর্যপূর্ণ। ততসঙ্গে তাদের দিকে চেয়ে আরও ১৯ পরিবার বিজেপি বিমুখ হয়েছেন। কারণ তাদের প্রত্যেকেই কোথাও না কোথাও বিজেপির উপর থেকে ভরসা হাড়িয়ে ফেলেছেন।
আর এসব দেখেই চারিদিকে গুঞ্জন, বিজেপিতে ভাঙ্গন ধরানো শুরু করেছে তিপ্রা মথা দলের নেতারা।এই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ত্রিপুরা সরকারের রাষ্ট্রমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা,এডিসির ই.এম রবীন্দ্র দেববর্মা, রুনিয়েল দেববর্মা,ব্লক প্রেসিডেন্ট দীপক দেববর্মা সহ অন্যান্য নেতা কর্মীরা।
এই যোগদান সভা নিয়ে রাষ্ট্রমন্ত্রী বৃষকেতু দেববর্মা বলেন মহারাজার ডাকে উনার নেতৃত্বে যে কাজ হচ্ছে তার জন্য মানুষ তিপ্রা মথা দলে সামিল হচ্ছে এবং এই যোগদান রাজ্য ব্যাপী চলছে, আগামীদিনেও চলবে। এমনি তেই প্রদ্যুত বিক্রম বার্তা দিয়েছিলেন আগামী ভিসি নির্বাচনে একটি আসন ও মথার হাতের বাইরে যাবে না। কাউকে বিন্দু মাত্র জমি ছাড়া হবে না। সেই দিশাতেই কাজ করে চলেছে এবার তিপ্রা মথা।
তবে বিজেপি তে ভাঙ্গন ধরানোর মধ্যে দিয়ে মথা কোন নতুন রাজনৈতিক চাল দিচ্ছে সেদিকেই তাকিয়ে আছেন রাজ্য বাসী।



