Tipra Motha News : পাহাড়ে শুধুই থাকবে আঞ্চলিক দল। কোনো ন্যাশানাল পার্টি কে ঢুকতে দেবো না এডিসি তে। ত্রিপুরার বর্তমান রাজপরিবারের অন্তিম সদস্য তথা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ও নিজেকে রাজা বলে দাবী করা প্রদ্যুত মানিক্যের মুখে শোনা গেল এই উক্তি।
আগরতলার বুকে শাসক বিজেপির শরিক দল তিপ্রা মথা সোমবার এক বিপুল সংখ্যক যোগদান এর কর্মসূচীর আয়োজন করে। যেখানে প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারের ১২ শতাধিক ভোটার একযোগে বিভিন্ন দল ছেড়ে তিপ্রা মথায় যোগ দিয়েছেন।
এদিন এই যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয় আগরতলা রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন স্থিত এক নং প্রেক্ষাগৃহে। আর এই অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ছিলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যুত বিক্রম মানিক্য দেববর্মা। এছাড়াও দলের অন্যান্য নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। একে একে তিপ্রাসাদের নানা বিধ স্বার্থ সম্বলিত বিষয় নিয়ে আলোচনা ও শাসক এবং বিরোধী দের সমালোচনা করতে শোনা যায় নেতৃত্বদের। একেবারে শেষে মঞ্চে উঠেই আগত দের উদ্দেশ্যে নিজের ভাষণ পেশ করেন বুবাগ্রা।
বাংলা হিন্দি উভয় ভাষাতেই আজ গলা চড়িয়ে কথা বলেন তিনি। তিপ্রাসাদের কে ঐক্য বদ্ধ থাকার মন্ত্র প্রদানের পাশপাশি তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে এডিসি তে উনি কোনো জাতীয় রাজনৈতিক দল কে ঢুকতে দেবেন না। একমাত্র রাজত্ব হবে তিপ্রা মথার। কারণ একমাত্র এই দলই রাজ্যের তিপ্রাসাদের জন্যে ভাবে।
উনার বক্তব্যে আজ শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ উজাড় হতে দেখা যায়। শাসক দল নাকি তাদের কে ইমোশনাল ভাবে ব্ল্যাক মেইল করছে। তারা ভাবছে এমন করতে থাকলে মথা শরিক থেকে সরে দাঁড়াবে। আর তারা দিল্লী গিয়ে বলবে, যে ঐ দেখো আঞ্চলিক দল টি সরে গেছে। সবাই না হলেও বিজেপির কিছু সংখ্যক লোক তিপ্রা মথা কে নিয়ে খেলা করছে এমনটাই বুঝিয়েছেন এদিন প্রদ্যুত মানিক্য। কিন্তু তারা কারা, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনো ধোঁয়াশা তেই রয়ে গেছে।
এমনিতেই বিজেপি তে বর্তমানে দুই পক্ষের আপেক্ষিক দ্বন্দ্ব। কেউ মানিক পক্ষের অনুগামী তো কেউ বিপ্লব পক্ষের। প্রদ্যুত বাবু ও কিছুটা প্রাক্তনের দিকেই ঝুঁকে আছেন এমনটাই দাবী রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহলের। তবে কি মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি মানিক পক্ষের দিকেই ইঙ্গিত করতে চেয়েছেন ?এমনটাই সন্দেহ জাগছে।
যাই হোক, এদিনের এই যোগদান সভা বিশেষ ভাবে তাৎপর্য পূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ , তিপ্রাসাদের ভোট ত্রিপুরার রাজনীতি তে একটা বিশাল ফ্যাক্টর। সে জায়গায় দাঁড়িয়ে পাহাড়ে এক কালীন শক্তি শালি সংগঠন গনমুক্তি পরিষদ বর্তমানে দুর্বল হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে বিজেপি ও তিপ্রা মথার শক্তির সামনে বর্তমানে পাহাড়ে নিজের শক্তি জাহির করতে পারছে না। এই অবস্থায় দলে দলে পাহাড়ের জনজাতি দের তিপ্রা মথার দিকে ঝুঁকে যাওয়া আসন্ন ভিসি নির্বাচন , এডিসি নির্বাচন ও ২০২৮ এর বিধানসভা নির্বাচন সব কটি কেই জটিল করে তুলছে। দেখার বিষয় এখন এই যোগ দান এর সংখ্যা আদৌ ভোট বাক্সে স্ফীতি ঘটায় নাকি বাজি পাল্টে যায়।