Tipra Motha News : ত্রিপুরায় কি আদৌ সুরক্ষিত আছেন সংখ্যালঘুরা ? আচমকা এই প্রশ্ন তুলে ধরেছেন এবার মাইনরিটি সেল এর চেয়ারম্যান। ইসলাম ধর্মীয় বাঙালী হলেও উনি ত্রিপুরার আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল তিপ্রা মথার মাইনরিটি সেল এর চেয়ারম্যান। উনার বিশ্বাস ত্রিপুরার আদিবাসী কিংবা ইসলাম ধর্মীয় সংখ্যালঘু কেউই নিজেদের যোগ্য অধিকার পাচ্ছেন না। এমনকি নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা রয়েছে উনার। উনি হলেন শাহ আলম মিয়া।
এবার উনি নিরাপত্তার প্রশ্ন চিহ্নে রাজ্য প্রশাসন কে বিঁধে পশ্চিম আগরতলা থানায় ডেপুটেশান জমা করেছেন। অভিযোগ উনারই সহকর্মী এক ব্যক্তি কে কতিপয় সংখ্যা গরিষ্ঠ শ্রেণীর এক ব্যক্তি প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে।
উদয়পুরের সুকান্ত সাহা নামক এক দমকল কর্মীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে পশ্চিম থানায় ডেপুটেশান দিয়েছে এদিন তিপ্রা মাথার মাইনরিটি সেল । অভিযোগ উক্ত ব্যক্তি নাকি মাইনরিটি সেল এর রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক সেন্টু মিয়া কে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৬ই সেপ্টেম্বর। উদয়পুর খিলপাড়ায় কতিপয় পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ এর এক হকার কে মারধোর করা এবং একই রাতে ঐ এলাকায় এক বাড়িতে অবস্থান করা ১৫ থেকে ২০ জন হকার দের উপর আক্রমণ ও ঘর ভাংচুরের ঘটনার সাথে এই সুকান্ত সাহা জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
ততসঙ্গে সে নাকি হুমকি ধমকি দিচ্ছে যে এ রাজ্যে সংখ্যালঘু দের কে থাকতে দেওয়া হবে না। সংখ্যা লঘু দের দেখলেই নাকি সে তাদের উপর চড়াও হচ্ছে এমনকি প্রাণ নাশের হুমকি অব্দি দিচ্ছে। এই ধরণের প্রয়াস রাজ্যে সংখ্যা লঘু দের নিরাপত্তা কে প্রশ্ন চিহ্নের মুখে দাড় করাচ্ছে। বিশ্রামগঞ্জে কিছুদিন পূর্বে তিপ্রা মথা দলীয় ব্লক সভাপতি গৌতম বুদ্ধ দেববর্মা উস্কানিমূলক বার্তা দেবার অপরাধে তাঁর নামে মামলা নেয় প্রশাসন। কিন্তু একই জায়গায় আক্রমণাত্মক আচরণ করেও সহজে পাড় পেয়ে যাচ্ছে সুকান্ত দের মতো লোকেরা । কেন সেটাই প্রশ্ন তাদের।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন শাহ্ আলম । তবে কি রাজ্য প্রশাসন সংখ্যালঘু ও সংখ্যা গুরু দের মধ্যে বিভেদ করছে ? কেন সংখ্যা লঘুরা ন্যায্য বিচার পাবেনা, ডেপুটেশান শেষে এমনটাই প্রশ্ন তুলেছেন মাইনরিটি সেল এর চেয়ারম্যান শাহ আলম মিয়া। অতঃপর দোষীর সাজা না হলে আগামী দিনে গোটা রাজ্য ব্যাপি আন্দোলনের ডাক দেবার হুমকি ও দিয়েছেন উনি ।