অপহৃত নাবালিকা কে উদ্ধার করা নিয়ে ষড়যন্ত্র কষছেন খোদ পুলিশ ইন্সপেক্টর

কথায় আছে না, মেয়েরাই মেয়েদের জাত শত্রু। এই প্রবাদ কে একেবারে অক্ষরে অক্ষরে সঠিক প্রমাণ করলো এক খাকী উর্দি ধারী মহিলা পুলিশ।

সোনামুড়া থানার নাকে চুন কালি লেপে দিয়ে নিজের পকেট ভর্তি করার ধান্দায় মেতে আছেন এক মহিলা পুলিশ ইন্সপেক্টর। নাম অপর্ণা দেবনাথ। সোনামুড়া থানায় ডিউটিরত এই পুলিশ কর্মী।
সম্প্রতি এক অপহরন মামলা কে ঘিরেই প্রকাশ্যে এসেছে এই মহিলা পুলিশের কাণ্ড কারখানার সমস্ত নথি। জানা যায়, গত অক্টোবর মাসের ৮ তারিখ সোনামুড়ার বাসিন্দা আব্দুল হাকিম এর মেয়ে কে কিছু দুষ্কৃতী অপহরন করে নিয়ে যায়। অপহরণের পর ১০ই অক্টোবর আব্দুল হাকিম সোনামুড়া থানায় মেয়ের অপহরণ কাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন তিন জনের নাম ধাম দিয়ে মামলা করেন। প্রথমে ঐ ইন্সপেক্টর অপর্ণা দেবনাথ মামলা নিতেই চাননি বলে অভিযোগ পরিবারের। এর পর চাপে পরে মামলা নিলেও তদন্ত শুরু করেননি ম্যাদাম অপর্ণা। এক মাস অতিক্রান্ত হয়ে যায় নাবালিকা মেয়ে উদ্ধার করতে ব্যর্থ অপর্না।
জানা যায় , থানার ওসি ছুটিতে থাকায় বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছে অপর্ণা দেবনাথ। তাই মামলা নিয়ে তদন্ত করার দায়িত্ব ও উনারই। কিন্তু দীর্ঘ দিন মেয়ে উদ্ধার না হওয়ায় মেয়ের বাবা মা অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর দারস্থ হন। মুখ্যমন্ত্রীর চাপে পরে মেয়েকে উদ্ধার করতে কাজ চালান সিপাহীজলার এসপি। এসপির নির্দেশে মেয়েটিকে উদ্ধার করলেও এই মামলার তদন্তকারী অফিসার অপর্ণা দেবনাথ আটক করেনি অপহরণকারীদের। পরিবর্তে অভিযুক্তদের বাঁচিয়ে দেবার তাগিদে হাস্যকর নাটক সাজায় ইন্সপেক্টর অপর্না। এখন মুখ্যমন্ত্রী চাপে পরে শুধু মেয়েকে উদ্ধার করে দিয়েছে পুলিশ। কিন্তু গ্রেপ্তার নেই আসামি। অভিযুক্তদের ধরে দিলেও কিছুক্ষণ পরই তাদের ছেড়ে দেন ম্যাডাম অপর্না । অপরাধীদের বাঁচাতে নাকি তিনি নাবালিকা মেয়েকে দিয়ে জোর করে বলাচ্ছেন যে তাকে কেউ অপহরণ করে নি। সে মা বাবার উপর রাগ করে চলে গিয়েছিল।
বর্তমানে অপর্না দেবনাথ নাকি নারী সংক্রান্ত মামলা সহ বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসায়ীদের থেকে মুনাফা আদায় করে চলেছে। যাতে করে একদিকে শুধু মাত্র সোনামুড়া থানাই নয়, গোটা ত্রিপুরা পুলিশের মান সন্মানে কালিমা পুঁতে দিয়েছেন এই গুণধর মহিলা পুলিশ ইন্সপেক্টর।

Leave A Reply