Teliamura News : ভ্রাতৃত্ব, ভালোবাসা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার বার্তা ছড়িয়ে দিতে আজ তেলিয়ামুড়া জুড়ে এক বিশেষ উদ্দীপনা দেখা গেল। ‘তেলিয়ামুড়া ভলেন্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত হলো রাখি বন্ধন উৎসব, যেখানে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়।
দিনের শুরুতেই সংস্থার সদস্যরা বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যান—তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসকের কার্যালয়, টি.এস.আর ১২ ব্যাটেলিয়ন ক্যাম্প, মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের কার্যালয়, তেলিয়ামুড়া থানা, ফায়ার সার্ভিস, পুরপরিষদ কার্যালয়সহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক স্থানে। তারা কর্তব্যরত আধিকারিক ও কর্মীদের হাতে রাখি বেঁধে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে তাঁদের ভূমিকার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।
উৎসবের এই মুহূর্তে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সম্পাদক মৃন্ময় রায়, সহ-সম্পাদক সৌরভ পাল, সোশ্যাল মিডিয়া ইনচার্জ সৌরভ সাহা সহ অন্যান্য সক্রিয় সদস্যরা। সংস্থার সম্পাদক মৃন্ময় রায় বলেন,
“আমরা অতীতেও মহকুমা এলাকায় নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছি। দুর্যোগ মোকাবিলা থেকে শুরু করে রক্তদান শিবির, পরিবেশ সচেতনতা অভিযান—সবক্ষেত্রেই আমাদের সদস্যরা পাশে থেকেছে। ভবিষ্যতেও তেলিয়ামুড়া ভলেন্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশন সমাজসেবামূলক কাজে সমানভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, রাখি বন্ধনের এই আয়োজন শুধু প্রতীকী বন্ধন নয়, এটি প্রশাসনিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে জনগণের সম্পর্ককে আরও ঘনিষ্ঠ করে তোলে এবং পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এই ধরনের উদ্যোগ শুধু উৎসব উদযাপনের সীমার মধ্যে থাকে না; বরং তা সমাজে সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধ গড়ে তোলে। প্রশাসনের কর্মীরাও এই স্নেহ ও সম্মান পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন এবং জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
তেলিয়ামুড়া ভলেন্টিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের এই উদ্যোগ প্রমাণ করল—রাখি শুধু ভাই-বোনের মধ্যে নয়, বরং প্রতিটি মানুষের মধ্যে নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক হতে পারে।