Teenage girl suicide

মোবাইল এর জন্যে মায়ের বোকা ঝকা সহ্য হলনা আত্মঘাতী নাবালিকা কন্যার

ছোট বেলা থেকে ছেলে মেয়েদের হাতে আহ্লাদ করে মোবাইল ফোন ধরিয়ে দেন অভিভাবকেরা। খাবার খাচ্ছে না ? মোবাইল টাতে গেইম চালিয়ে দিন, গান চালিয়ে দিন । দিব্যি খাবার খেয়ে নেবে। আপনার কাছ থেকে একটু বায়না করছে, সময় চাইছে ? আপনার সময় নেই দেওয়ার মতো। একটা মোবাইল ফোন ধরিয়ে দিন। বাচ্ছা রাও চুপ । আপনি ও আপনার কাজে মশগুল। এমন করে একদিন আপনার ছেলে মেয়েটা আসক্ত হয়ে পরে মোবাইলের প্রতি।
আর বড় হয়ে সেই ছেলে মেয়েরাই যখন মোবাইলে আসক্তির কারণে সারাক্ষন ফোন ঘেঁটে চলে , সারাক্ষন মোবাইলে সময় কাটায় তখন সেই অভিভাবকেরাই বকুনি দিয়ে হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যান ঐ যন্ত্র খানি। আর সেই অপমান অভিমান মুহূর্তের মধ্যে ছেলে মেয়েদের আত্ম হননের কারণ হয়ে দাড়ায়।
সদ্য দুদিন আগেই এমন এক ঘটনার জেরে মা বাবার বকুনি মানতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেই ১৬ বছরের এক যুবক। সেই ঘটনার রেশ কাঁটার আগেই মোবাইল ফোন ব্যবহার করা নিয়ে এবার মায়ের বকুনি সহ্য হল না ১৪ বছরের নাবালিকা শ্রেষ্ঠা দাসের। অতঃপর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করলো অবুঝ মেয়েটি।
ঘটনা গতকাল তেলিয়ামুরা স্থিত শ্রেষ্ঠার মামার বাড়িতে। মায়ের সাথে মামার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে সেখানেই মায়ের বকুনি তে অভিমান করে মেয়ে আত্মহত্যা করলো। গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এবং যেভাবে প্রতিনিয়ত ক্রমবর্ধমান মোবাইল ব্যাবহার জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় এবং দৃষ্টান্তমূলক ব্যাবস্থা গ্রহণের দাবি উঠছে। এই ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি বলে দাবি উঠছে ।

Leave A Reply