Sudip Roy Barman on Strike : ত্রিপুরা রাজ্যে ২৩শে অক্টোবর সকাল ৫টা থেকে শুরু হয়েছে বনধ। এই বনধের ডাক দিয়েছে তিপ্রা মথা সমর্থিত সিভিল সোসাইটি। তাছাড়াও নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠী তথা আত্ম সমর্পণ কারী বৈরি সংগঠন এনএলএফটি ও এটিটিএফ এই বনধের সমর্থন জানিয়েছেন। বনধের মূল উদ্দেশ্য ৮ দফা দাবী পূরণ। দাবী গুলোর মধ্যে অন্যতম দাবী হচ্ছে ত্রিপুরার সীমান্ত টপকে রাজ্যে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশী দের অনুপ্রবেশ রোখা সহ ইনার লাইন পারমিট প্রদান ইত্যাদি।
এই বনধ কে কেন্দ্র করে দিকে দিকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শাসক বিজেপির পরক্ষা মদতে এই বনধ সফল হয়েছে। যা রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ প্রভাব বিস্তার করবে বলেই অনুমেয়।
অন্যদিকে এই বনধ নিয়ে তীব্র ভাষায় বিজেপি মথা উভয় দল কেই কটাক্ষ করেছেন এদিন বিরোধী দলীয় কংগ্রেস এর বিধায়ক তথা সিডবলুসি মেম্বার সুদীপ রায় বর্মণ। উনি এই বনধ কে সরকারের বিরুদ্ধে তাদের শরিক দলের বনধ নয়, বরং বিজেপি ও মথার মিলিত বনধ বলেই আখ্যা দিয়েছেন।
শাসক বিজেপি সরকারের মুখিয়া মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই বনধ এর বিরোধিতা করার পরেও বহাল তবীয়তে বনধ চলছে রাজ্যে। পুলিশ প্রশাসন সেফ গার্ড দিচ্ছেন বনধ পরিচালক দের। এর থেকে কি এটা স্পষ্ট নয় যে সরকারের মদতেই বনধ চালানো হচ্ছে ? অন্যদিকে যে সমস্ত দাবী নিয়ে তারা বনধ ডেকেছেন তাঁর সমস্ত তাই কেন্দ্রের আওতাধীন। তাহলে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে কি বোঝাতে চাইছে মথা ? অমিত শাহ কে সেফ গার্ড দিয়ে রাজ্যে বিজেপির প্রধান মুখ কে ব্যাক ফুট দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছে না তো তিপ্রা মথা ? এক অন্য রাজনীতি খেলাই কি এর উদ্দেশ্য – প্রশ্ন তুললেন সুদীপ রায় বর্মণ।
এদিন এই বনধ কে বিজেপি মথার মিলিজুলি ভগত এবং আসন্ন ভোট বৈতরণী পারের একটি পন্থা বলে আখ্যা দিলেন সুদীপ রায় বর্মণ। শুধু তাই নয়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব কেও এক হাত নিয়ে এদিন কটাক্ষের সুর চড়ালেন সুদীপ।
তিপ্রাসাদের ইল্লিগ্যাল মাইগ্রেন্ট ইস্যু অনৈতিক নয়। এই নিয়ে কংগ্রেস ও বিরোধিতা জানায়। কিন্তু , রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব নিজেও একজন বাংলাদেশী। তাকে নিয়ে কেন প্রতিবাদ নেই তিপ্রা মথার ? তাঁর সাথে সখ্যতা রেখে , তাঁর সাথে দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়িয়ে, তাকে ভোট দিয়ে জয়ী করাতে গিয়ে তিপ্রাসা দের তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না ? তাঁর মানে এই ইস্যু গুলো নিয়ে ডাকা এই বনধ কেবল মাত্র লোক দেখানো তামাশা। এদিন এভাবেই তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করলেন শ্রী বর্মণ।
অন্যদিকে পূর্ব ত্রিপুরার সাংসদ, কৃতি সিং দেববর্মা যিনি সরাসরি পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে তিপ্রাসাদের দাবী কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরতে পারেন উনি কেন পার্লামেন্টে এই নিয়ে কোনো কথা বলছেন না, সেই প্রশ্ন ও ছুড়ে মারেন তিনি। সব মিলিয়ে সামনে যে ভিসি ইলেকশান আসছে তাতে পাহাড়ে নিজেদের শক্তি ধরে রাখা এবং মানুষ কে জনজীবনের সমস্যাদি থেকে দূরে সরিয়ে এসমস্ত ইস্যু কে নজর টিকিয়ে রাখার এক মিলিত চক্রান্ত এই বনধ, এমনই বার্তা দেন এদিন সুদীপ রায় বর্মণ।



