Sudip Roy Barman : পার্লামেন্টে ‘বন্দে মাতরম’ এবং ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান উচ্চারণে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে যে বিতর্ক শুরু হয়েছে, তা নিয়ে সরব হলেন ত্রিপুরার বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ। এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানান। তাঁর দাবি, যাদের রাজনৈতিক অতীত স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে নেই, তারাই আজ জাতীয়তাবাদী স্লোগানের বিরোধিতা করছে।
সুদীপ রায় বর্মণের কথায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় ভারতীয় জনতা পার্টির পূর্বসূরি সংগঠনগুলোর ভূমিকা ছিল শূন্য, বরং গোপন তথ্য ফাঁস ও ব্রিটিশদের সহায়তাতেই তারা ব্যস্ত ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, জনসংঘ এবং আরএসএস স্বাধীনতা আন্দোলনের বিভিন্ন ধাপে মহাত্মা গান্ধীসহ স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ডাকের বিরোধিতা করেছে।
তার মতে, “যে স্লোগানে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, যে কথায় মানুষের বুকে গর্ব জন্মায়, সেই ‘বন্দে মাতরম’ ও ‘জয় হিন্দ’-এর বিরোধিতা করা তাদের ডিএনএ-তেই রয়েছে।” তিনি আরও দাবি করেন, দেশের বিভাজনের সময় হিন্দু মহাসভা ও মুসলিম লিগ– উভয়ের ভূমিকা ছিল বিতর্কিত। তা সত্ত্বেও ইতিহাসকে বিকৃত করে নতুন বয়ান তৈরির চেষ্টা চলছে।
বিধায়কের অভিযোগ, একদিকে জাতীয় স্লোগান নিষিদ্ধ করা হচ্ছে, অন্যদিকে “জয় শ্রীরাম” বা “হার হার মোদি”-র মতো রাজনৈতিক স্লোগানে কোনও বাধা নেই। তাঁর বক্তব্যে ক্ষোভ স্পষ্ট— “এরা দেশের মানুষের ঐক্যের প্রতীক স্লোগানগুলোর বিরোধিতা করে, কিন্তু দলীয় স্লোগানের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নীরব।”
তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত সমাজ এসব ইতিহাস বিকৃতির প্রচেষ্টা বুঝতে পারে। তাই তিনি দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন— যারা জাতীয়তাবোধের প্রতীক ‘বন্দে মাতরম’ ও ‘জয় হিন্দ’-এর বিরোধিতা করে, তাদের প্রত্যাখ্যান করার জন্য।
শেষে সুদীপ রায় বর্মণ কঠোর ভাষায় জানান, “জাতীয় স্লোগানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা যারা করেছে, তাদের প্রতি রইল তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা।



