Sudip Roy Barman : ত্রিপুরার রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের কংগ্রেসের উত্থানের ইঙ্গিত। কদমতলা-কুর্তি ব্লক কংগ্রেস কমিটির উদ্যোগে চুরাইবাড়ি কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হলো এক বিশাল যোগদান সভা। এই সভায় সিপিআই(এম) ও বিজেপি—উভয় দল থেকে ১৩৭টি পরিবারের মোট ৪৫৮ জন কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দেন। এই ঘটনা ত্রিপুরার রাজনৈতিক মানচিত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় এনে দিয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ধর্মনগর থেকে এক বর্ণাঢ্য বাইক র্যালির মাধ্যমে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা এবং বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন-কে চুরাইবাড়ি কমিউনিটি হলে নিয়ে আসা হয়। শত শত কংগ্রেস সমর্থক হাতে দলের পতাকা নিয়ে স্লোগানে মুখরিত করে তোলেন পুরো এলাকা।
এদিন সিপিআইএম থেকে ১০২টি পরিবার এবং বিজেপি থেকে ৩৫টি পরিবার কংগ্রেসে যোগ দেন। দীর্ঘদিনের ‘লাল দূর্গ’ এলাকায় এই ধরনের পালাবদল রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।
সভায় বক্তারা একযোগে রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন। বক্তাদের বক্তব্যে উঠে আসে সাধারণ মানুষের অধিকার, শান্তি ও উন্নয়ন পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার।
বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,
“১০২টি পরিবার সিপিএম ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে, ৩৫টি পরিবার বিজেপি থেকে এসেছে। এটা শুধু দলবদল নয়, এটা মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন। মানুষ আর প্রতিশ্রুতির রাজনীতি চায় না চায় কাজ, চায় নিরাপত্তা।
তিনি আরও বলেন,
“সিপিএম-এ থাকা মানে পরোক্ষে বিজেপিকে সমর্থন করা। সিপিএমের এই রাজ্যে আর কোনও ভবিষ্যৎ নেই— এটা ইতিহাসই প্রমাণ করেছে। মানুষ ২৫ বছরের লাল রাজত্ব দেখেছে, গত ১০ বছরের বিজেপি শাসনও দেখছে। এখন সময় কংগ্রেসকে সুযোগ দেওয়ার।”
তিনি দাবি করেন, কংগ্রেসই আজ একমাত্র দল যারা ইডি, সিবিআই বা ইনকাম ট্যাক্সের ভয় না পেয়ে জনগণের স্বার্থে লড়াই করছে। “রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসই আজ দেশের সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষতার লড়াইয়ের আসল যোদ্ধা— বলেন তিনি।
ত্রিপুরায় সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে এই যোগদান সভা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।



