Smart Meter Electricity : স্মার্ট মিটার বসানোর পর থেকেই বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতির অভিযোগে বারবার সরব হচ্ছেন রাজ্যবাসী। শুক্রবার সেই ক্ষোভ তুঙ্গে পৌঁছায় বিশালগড়ের জাঙ্গালিয়া এলাকায়। এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা সংগঠিতভাবে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চলে বিক্ষোভ, ওঠে স্লোগান — “স্মার্ট মিটারের নামে চুরি বন্ধ করো!”
প্রতিবাদকারীদের বক্তব্য, বিদ্যুৎ মিটার বদলের পর থেকে প্রতিদিনের রিচার্জে বাড়তি খরচ হচ্ছে, অথচ বিদ্যুৎ ব্যবহার সেই আগের মতোই। কেউ কেউ জানিয়েছেন, যেখানে আগে মাসে ২০০-২৫০ টাকায় বিদ্যুৎ চলতো, এখন সেখানে সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাচ্ছে রিচার্জ। অভিযোগ উঠছে যে, ‘স্মার্ট’ মিটারের মাধ্যমে ইউনিট দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে, অথচ গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে না কোনো স্বচ্ছ হিসাব।
প্রতিবাদকারীরা স্পষ্টভাবে বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতন লাল নাথের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তাঁদের অভিযোগ, মন্ত্রী সমস্যার কথা জেনেও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। এক বিক্ষুব্ধ গ্রাহকের বক্তব্য,
“মাননীয় মন্ত্রী মানুষের দুর্ভোগ দেখছেন না। যদি এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে রাজ্যজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আসবে।
স্মার্ট মিটার নয়, এটা স্মার্ট লুট, বিরোধী দলের নেতারাও এই ঘটনায় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। তাঁদের মতে, স্মার্ট মিটার বসানোর আগে জনগণকে সঠিকভাবে জানানো হয়নি এর কার্যপ্রণালি। এখন প্রতিদিনের হিসেব রাখা তো দূরের কথা, বিলের হিসাবও মিলছে না।
সরকার যদি মানুষের কষ্ট না বোঝে, তবে নির্বাচনের দিনে তার মূল্য বুঝতে হবে।
জনসাধারণের বক্তব্য ‘আমরা আর চুপ থাকবো না’
বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে এখনও কোনও সরকারি বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত রাখার চেষ্টা করে।
স্মার্ট মিটার প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের সুবিধা দেওয়ার কথা বলেছিল সরকার। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, এটি হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা। বিদ্যুৎ, যা নাগরিক জীবনের অন্যতম প্রধান চাহিদা, তা নিয়েই আজ রাজ্যবাসী বঞ্চিত ও প্রতারিত বোধ করছেন।