Sekerkote Club News : মধুপুর বাজারের সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ী বুরো বণিক ও তার ছেলে পাপাই বণিক সেকেরকোটের ঐকতান সংঘ ক্লাবের সদস্যদের হাতে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, এক সহকর্মীর অসুস্থতার খবর পেয়ে তারা সেদিন দেখা করতে রওনা দেন। পথে সেকেরকোট চা বাগান সংলগ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কয়েকজন তাদের পাচারকারী সন্দেহে আটক করে। এরপর জোর করে ক্লাবের ভেতরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
আক্রান্তদের দাবি, ঐকতান সংঘের সেক্রেটারি সহ প্রায় ২০-২৫ জন এ হামলায় জড়িত ছিলেন। এছাড়াও, তাদের মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে প্রমাণের চেষ্টা এবং নানা রকম ভয়-ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগও করেছেন তারা।
এ ঘটনায় বুরো বণিক আমতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
সেকেরকোটের এই ঘটনাটি শুধু একটি ব্যক্তিগত হামলা নয়, বরং ভুল সন্দেহ ও আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার একটি উদাহরণ। এ ধরনের ঘটনা সমাজে আতঙ্ক, সৃষ্টি করে এবং ন্যায়বিচারের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে। তাই সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণই এখন জরুরি।
সেকেরকোটে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক ঘটনাটি আমাদের সমাজের একটি অস্বস্তিকর বাস্তবতা তুলে ধরেছে। পাচারকারী সন্দেহে মধুপুর বাজারের সাউন্ড ব্যবসায়ী বুরো বণিক ও তার ছেলেকে ক্লাবে নিয়ে গিয়ে মারধর—এটি কেবল একটি ব্যক্তি বা পরিবারের ওপর আক্রমণ নয়, বরং আইনের শাসনের প্রতি অবজ্ঞার প্রকাশ।
ভুল সন্দেহ, জনতার রোষ এবং সংগঠিতভাবে শাস্তি দেওয়ার প্রবণতা আমাদের সামাজিক কাঠামোর জন্য বিপজ্জনক। এই ধরনের আচরণ শুধু ভুক্তভোগীর জীবনে ক্ষত তৈরি করে না, বরং সমাজে নিরাপত্তা ও আস্থার পরিবেশকেও ধ্বংস করে।
এখন প্রয়োজন, প্রশাসনের দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত, দোষীদের বিচারের আওতায় আনা এবং জনগণের মধ্যে আইন ও ন্যায়বিচার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি। কারণ ন্যায়বিচার কখনোই ভিড়ের হাতে নয়—বরং সমাজে নিরাপত্তা ও আস্থার পরিবেশকেও ধ্বংস করে।