Santirbazar Sisu News : শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালে মাত্র নয় মাস বয়সী এক শিশু কন্যার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় কালাছড়া এলাকার বাসিন্দা রাজীব দাসের কন্যা দীক্ষা দাস রবিবার সকালেই মৃত্যু বরণ করে, যা ঘিরে হাসপাতাল চত্বরে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত থেকেই পেটের তীব্র যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিল দীক্ষা। এরপর রবিবার ভোরে, আনুমানিক ৬টা নাগাদ শিশুটিকে শান্তিরবাজার জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবশ্রী রিয়াং তাকে দেখে দুটি ওষুধ লিখে দেন।
রাজীব দাস সেই ওষুধ কিনে নিয়ে ফেরার পথে একটি ওষুধ শিশুটিকে খাওয়ান। পরিবারের অভিযোগ, ওষুধ খাওয়ানোর পরই দীক্ষার অবস্থার অবনতি ঘটে এবং সে অচেতন হয়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অভিযোগ, তখনকার ডিউটির চিকিৎসক তাঁকে আর একবার দেখার প্রয়োজন মনে না করে নিজের ডিউটি শেষ করে চলে যান।
পরিবারের দাবি, যদি চিকিৎসক সেই মুহূর্তে শিশুটিকে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেন, তাহলে হয়তো তার জীবন রক্ষা করা সম্ভব হতো।
এছাড়া পরিবার শান্তিরবাজার থানার এসআই সমীর বাবুর বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের দাবি, তিনি রাজনৈতিক ভয় দেখিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং বলেন, চিকিৎসক জনজাতি সম্প্রদায়ের সদস্য, তাই তাঁর বিরুদ্ধে কিছু বললে তিপ্রা মথা দলের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া আসবে।
দীক্ষার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শান্তিরবাজার হাসপাতালে পৌঁছান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, জেলা হাসপাতালের এমএস এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তারা। হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার জানিয়েছেন, শিশুটিকে যথাসময়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পরেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে জানান তিনি।
বর্তমানে দিকসার মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং এলাকায় শোকের আবহ বিরাজ করছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর পেছনের প্রকৃত কারণ এবং চিকিৎসায় কোনো গাফিলতি ছিল কিনা, তা পরিষ্কার হবে।