খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Tuesday, 28 October 2025 - 02:33 AM
মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ - ০২:৩৩ পূর্বাহ্ণ

Santirbazar Road Block : পথ অবরোধে সমস্যা সমাধান না হওয়াতে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলালো ছাত্র ছাত্রীরা

Santirbazar Road Block
1 minute read

Santirbazar Road Block : শিক্ষা ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়ছে। বিদ্যালয়ে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। এদিকে একের পর এক শিক্ষক কে করে দেওয়া হচ্ছে ট্র্যান্সফার। অতঃপর ক্ষুব্ধ হয়ে অবরোধ এবং অবরোধে কাজ না হওয়ায় স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দিলো শিক্ষার্থীরা। ঘটনা জোলাইবাড়ি রামরাই বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে।

ঘটনার বিবরনে জানাযায় শান্তির বাজার মহকুমার অন্তর্গত জোলাইবাড়ীর রামরাইবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই জন শিক্ষক দের নামে বদলির নোটিশ এসেছে। তাদের দুজন হলেন শিক্ষক প্রমোদ রঞ্জন ভৌমিক ও জয়ন্ত মজুমদার। আর এই বদলির খবর জানতে পেরেই নিজেদের প্রীয় শিক্ষককে বিদ্যালয়ে রাখার জন্য আন্দোলনে নেমে পড়েছে বিদ্যালয় এর ছাত্র ছাত্রীরা।

আন্দোলনের প্রথম দিন জোলাইবাড়ী ঋষ্যমুখের পথ অবরোধে সামীল হয় ছাত্র ছাত্রীরা। দীর্ঘসময় আন্দোলনের পর স্থানীয় স্কুল কমিটি এসে তাদের কে আশ্বস্ত করে যে তাদের স্যার দের বদলি আঁটকে দেওয়া হবে। সেই আশ্বাসে পথ অবরোধ থেকে সরে আসে ছাত্র ছাত্রীরা। কিন্তু আশ্বাস পূরণ হয়নি।

অবশেষে বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা দেখতে পায় নতুন শিক্ষক বিদ্যালয়ে এসেছে এবং ওদের প্রীয় দুই শিক্ষক অন্য বিদ্যায়ে চলে গেছে। এইকথা জানার পর ক্ষোভে ফেটে পরে ছাত্র ছাত্রীরা। ক্ষোভের ফলে ছাত্র ছাত্রীরা পুনরায় বিক্ষোভ প্রদশন করে বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ক্লাস বয়কট করে আন্দোলনে সামিল হয়।

এই আন্দোলন সম্পর্কে সংবাদমাধ্যমের সামনে জানাতেগিয়ে ছাত্র ছাত্রীরা নাম না করে এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে জানান তিনি ছাত্র ছাত্রীদের সিপিআইএম বলে আখ্যায়িত করেছে। ছাত্র ছাত্রীরা ওদের আন্দোলনে পার্টির লেভেল লাগানোতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিক্ষকের দাবীতে আন্দোলন করায় নাকি তাদের কে বাম্পন্থার ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ন্যায্য দাবী জানিয়ে আন্দলন করলে কি বামপন্থী হতে হবে ? নাকি বাম্পন্থিরাই ন্যায্য দাবী জানিয়ে আন্দোলন করে / প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।

এছারা এই আধিকারিক নাকি এও বলে যে শিক্ষক দের কি মাসে মাসে বেতন ছাত্র ছাত্রীদের পিতামাতা দিচ্ছেন। ছাত্র ছাত্রীদের প্রশ্ন উদের পিতামাতা যদি শিক্ষকদের বেতন প্রদান করতেন তাহলে তারা সকলে গ্রামের এই স্কুলে লেখাপড়া না করে শহরে নাম করা বেসরকারি বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে পারতো। আন্দোলনের মাঝে তাদের বাবা মা কে টেনে এনে আপত্তি জনক কথা বলাতেও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে শিক্ষার্থীরা।

শুধু তাই নয়, আন্দোলন করায় নাকি পুলিশ দিয়ে তাদের কে ধমকি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানায় আন্দোলন করলে এই ছাত্র ছাত্রীদের বিদ্যালয় থেকে নাকি বহিষ্কার করা হবে এবং ছাত্র ছাত্রীদের উপর লাঠী চার্জ করা হবে। জোলাইবাড়ী ফাঁড়ী থানার ওসি খোকন দাস ও বাইখোড়া থানার ওসি বিষ্ণুচন্দ্র দাস ছাত্র ছাত্রীদের এই ধরেন উক্তিকরে ধমকী দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

শিক্ষালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবীতে সুষ্ঠু ভাবে আন্দোলন বন্ধ করে দেওয়া কিংবা তাদের কে স্কুল থেকে বহিস্কার করে দেবার মতো উক্তি একজন ওসি কিভাবে করতে পারেন ? এভাবে কি কোমল মতি দের জীবন নষ্ট করে দিতে চাইছেন উনি ? প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।

সার্বিক ভাবে এদিন এই আন্দোলন অহেতুক এক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়ে। যেখানে অজান্তেই রাজনীতি, পুলিশের গুন্ডা গিরি সমস্ত কিছুই ঢুকে পরে এবং আন্দোলন রত দের কে হয়রানীর শিকার হতে হয়। তবে অবশেষে আবারো আশ্বাস পেয়ে তালা খুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে তাদের প্রিয় শিক্ষক দের কে বিদ্যালয়ে ফেরাতে আদৌ কোনো ধরণের ভূমিকা নেয় কিনা দপ্তর।

For All Latest Updates

ভিডিও