Sabroom Jitendra Chowdhury : সাব্রুমে রাজনৈতিক উত্তেজনা। মঙ্গলবার সিপিআইএম-এর ডাকে আয়োজিত ব্লক অভিযানে অংশ নিতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। সাত দফা দাবিকে সামনে রেখে এই মিছিল শুরু হলেও, মাঝপথেই বিশাল পুলিশবাহিনী তা থামিয়ে দেয়। অভিযোগ, প্রশাসনের নির্দেশে বামেদের পদযাত্রা রুখে দেওয়ার চেষ্টা হয়।
কিন্তু লাল পতাকাধারীরা পিছু হটেননি। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে বাম সমর্থকেরা পুলিশি বাধা অগ্রাহ্য করে এগিয়ে যান।
মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, “শাসক দল বামেদের ভয় পায় বলেই পুলিশকে দিয়ে বাধা তৈরি করছে। মানুষ জানে, কারা তাদের স্বার্থ রক্ষা করে।” তিনি আরও বলেন, “জনগণের দাবিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। পুলিশ প্রশাসনকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা লজ্জাজনক।”
অবশেষে স্থানীয় একটি সভায় মিলিত হয়ে বাম নেতৃত্ব প্রশাসনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে। বক্তারা দাবি তোলেন—রাজনৈতিক গণতন্ত্রে বিরোধী কণ্ঠকে দমন করা মানে জনগণের অধিকার কেড়ে নেওয়া।
সাব্রুমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে নতুন করে বাম-শাসক সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে। বামেদের অভিযোগ, “যেখানে সভা, সেখানেই বাধা”—এ যেন এখন ত্রিপুরার রাজনৈতিক বাস্তবতা।
বিরোধী কণ্ঠকে রুদ্ধ করার প্রবণতা গণতন্ত্রের পক্ষে অশনিসঙ্কেত। বামেদের অভিযোগ—শাসক দল প্রশাসনকে ব্যবহার করে গণআন্দোলনের পথ রুদ্ধ করতে চাইছে—এই দাবি নিছক রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং জনগণের মৌলিক অধিকারের প্রশ্ন।
তবুও এই ঘটনার মধ্য দিয়ে স্পষ্ট, বাধা যতই আসুক, ত্রিপুরার রাজনীতিতে লাল পতাকা এখনও প্রতিরোধের প্রতীক। বামেদের দাবি—গণতান্ত্রিক অধিকারের লড়াই কোনো দলের নয়, এটি জনগণের—সেটিই হয়তো ভবিষ্যতের রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।



