খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Sunday, 21 December 2025 - 12:02 AM
রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ - ১২:০২ পূর্বাহ্ণ

Rishyamukh News : মতাই কৃষ্ণপুরে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে কৃষক সাধন মজুমদারের বসতঘর ছাই

Rishyamukh News
1 minute read

Rishyamukh News : ঋষ্যমুখ বিধানসভা কেন্দ্রের জগৎপুর পঞ্চায়েতের মতাই কৃষ্ণপুর এলাকায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেল কৃষক সাধন মজুমদারের একমাত্র বসতঘর। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ঘরের কোণায় কোণায়।

ফলে ঘরের প্রায় সমস্ত আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় নিত্য ব্যবহার্য দ্রব্য, নগদ অর্থ এবং প্রায় দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার পুড়ে যায়। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও আগুনের গ্রাস থেকে রক্ষা পায়নি।

ঘটনার সময় বাড়িতে কেউ উপস্থিত না থাকায় বড় ধরনের শারীরিক ক্ষতি না হলেও ভোরের আলো ফুটতেই সামনে আসে চরম আর্থিক ক্ষতির চিত্র। সাধন মজুমদার তখন কৃষিজমিতে কাজ করছিলেন এবং তাঁর স্ত্রীও ছিলেন বাইরে। প্রতিবেশীরা প্রথমে ঘর থেকে ধোঁয়া ও আগুন বেরোতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং দ্রুত অগ্নিনির্বাপক দপ্তরে খবর পাঠান।

সংবাদ পেয়ে দমকল কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সচেষ্ট হন। তাদের তৎপরতায় আগুন আশপাশের বাড়িতে ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা পায়, নইলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারত। তবে দমকলের প্রচেষ্টার আগেই সাধন মজুমদারের সম্পূর্ণ বাসভবন ছাই হয়ে যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে দমকলকর্মীরা জানান, প্রাথমিকভাবে এটি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটজনিত অগ্নিকাণ্ড বলেই মনে হচ্ছে। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার জন্য ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।

এই আকস্মিক বিপর্যয়ে সম্পূর্ণ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সাধন মজুমদার ও তাঁর পরিবার। চোখের সামনে নিজের সংগ্রামে গড়ে ওঠা বাড়িটি মুহূর্তেই পুড়ে যেতে দেখে ভেঙে পড়েছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এখন প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতের সাহায্যের আশায় তাকিয়ে আছে। স্থানীয় মানুষজনও তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।

অগ্নিকাণ্ডের এই মর্মান্তিক ঘটনাটি আবারও প্রমাণ করল—বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ও সতর্কতার অভাব কত বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এখন একমাত্র প্রত্যাশা, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি দ্রুত কিছু সহায়তা পেয়ে আবার নতুন করে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখতে পারে।

এই মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি শুধু একটি পরিবারের সর্বস্ব হারানোর কাহিনি নয়, বরং গ্রামীণ এলাকায় বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতির দিকে গুরুতর বার্তা দেয়। সাধন মজুমদারের পরিবার রাতারাতি মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন। দমকল বিভাগের দ্রুত তৎপরতা বড় বিপদ ঠেকালেও ক্ষতিটুকু পূরণ হবার নয়।

এখন প্রশাসনিক সহায়তা, স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতনতা—এই তিনটিই সবচেয়ে জরুরি। মানবিক সহমর্মিতা ও বাস্তবসম্মত উদ্যোগই পারে এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আবার নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি দিতে।

For All Latest Updates

ভিডিও