Rishta Development foundation company
মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ নানাভাবে লুটে নেবার ফন্দি এঁটে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে কিছু ফাইনেন্স কোম্পানি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এমনই পরপর দুটি ঘটনা উঠে এসেছে আজ রাজ্যের দুই জায়গা থেকে। তাঁর মধ্যেই একটি ঘটেছে মন্দির নগরী উদয়পুরে।
জানা গেছে উদয়পুর অমর সাগর দক্ষিণ পাড় এলাকায় “রিশতা ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশন কোম্পানি” নামের একটি বেসরকারি কোম্পানি দীর্ঘদিন যাবত বহু মানুষের কাছ থেকে মোটা মোটা টাকা নিজের পকেটে পুরে নিচ্ছে। আর সেই অভিযোগ নিয়েই এবার প্রতারিত এক মহিলা আগরতলা থেকে সেই কোম্পানির খোঁজ করতে করতে পৌঁছে গেলেন উদয়পুরে। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ২০২৩ সালের ২৭ ডিসেম্বর আগরতলা মধুবন কাঁঠালতলি এলাকার বাসিন্দা রেশ্মা লোধ ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হন। এর পর ৩০শে ডিসেম্বর ঐ মহিলার কাছ থেকে আরও ৩০ হাজার টাকা দাবী করে কোম্পানি। সেই অর্থ ও যথারীতি প্রদান করেন মহিলা। আর পি গ্রুপের নাম করে এভাবে বহু মানুষের কাছ থেকে কোম্পানি টি অর্থ লুট করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। অতঃপর রেশ্মা লোধের কাছ থেকে সেই টাকা নেবার পর লাগাতর ৭ দিন একটি ট্রেনিং করানো হয়। কিন্তু রেশ্মা দেবী সেই ট্রেনিং নিতে ইচ্ছুক ছিলেন না । আর তাই তিনি তাঁর প্রদত্ত ৩৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেবার জন্যে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ কে আবেদন জানান। কিন্তু দীর্ঘ বহু সময় অতিবাহিত হবার পরেও কোম্পানির পক্ষ থেকে রেশ্মা লোধ কে সেই অর্থ ফিরিয়ে দেবার কোনো নাম নেই। নানা বিধ তালবাহানা করে কোম্পানি টি মহিলা কে নাজেহাল করছে। অবশেষে সব উপায় হাড়িয়ে বুধবার এই কোম্পানির খোঁজ করতে করতে উদয়পুরে এসে পৌঁছান রেশ্মা লোধ। কিন্তু কোম্পানির কর্মীদের সাথে ভদ্র ভাবে কথা বলেও কাজ হয়নি। তারা কোনো ভাবেই মহিলার টাকা ফেরাতে রাজী নন। আর তাই সর্বশেষে রাধাকিশোর পুর থানার দ্বারস্থ হন প্রতারিতা। রাধাকিশোর পুর থানার পুলিশ ঘটনা জানতে পেরে তৎক্ষণাৎ সেই কোম্পানি তে গিয়ে কোম্পানির নানা নথি পত্র নিয়ে আসে তদন্তের সাপেক্ষে। পাশাপাশি সাংবাদিকদের সামনে গোটা ঘটনা বিস্তারিত ভাবে জানিয়ে এক রাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন ঐ মহিলা। এদিকে এই বেসরকারি কোম্পানির প্রতারণার খবর চাউর হতেই ঘটনাস্থলে প্রচুর উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। তবে যে অভিযোগ গুলো উঠেছে সেই নিরিখে রাধাকিশোর পুর থানার পুলিশ কতটুক জোর দিয়ে এই ঘটনার তদন্ত করবে এবং ক্ষতি গ্রস্থ মহিলার অর্থ আদৌ তাঁকে ফিরিয়ে দিতে পারবে কি না পুলিশ সেদিকেই তাকিয়ে গোটা উদয়পুর বাসী।