Bamutia MLA Nayan Sarkar

রাজ্য জুড়ে বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা মেটানোর দাবী নিয়ে একের পর এক আন্দোলন চোখে পড়ছে। মাঠে ময়দানে নেমে বাম দলীয় নেতৃত্বরা শাসক শিবিরের দিকে নিশানা দেগে রাজ্যের মানুষের দুঃখ দুর্দশা ও বিজেপি শিবিরের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ নিয়ে ক্রমাগত মিছিল মিটিং করে চলেছেন। তাঁর মধ্যেই সর্বত্র মিলিত আন্দোলন গড়ে তোলার ডাক দিয়েছেন ৩ বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের জয়ী বাম বিধায়ক নয়ন সরকার। প্রায় প্রতিদিন ই বামুটিয়া বিধানসভার অলি গলি চষে বেরাচ্ছেন বিধায়ক।
উল্লেখ্য, এই বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বাম আমলে হরি চরণ সরকার পর পর ৫ বার জনগণের ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। তবে ২০১৮ তে “চলো পাল্টাই” শ্লোগানের হাওয়ার কাছে কিছুটা ম্লান হয়ে পড়েছিল পুরনো ধারাবাহিকতা। বামুটিয়া বাসী ভেবেছিলেন হয়তো এই পরিবর্তন তাদের জীবন পাল্টে দেবে। এর পর ২০১৮ তে বিজেপি দল থেকে বামুটিয়া কেন্দ্রে জয় লাভ করেন কৃষ্ণধন দাস। কিন্তু বিগত ৫ বছরে উনার হাত ধরে এক তিন্নি ও কিছু পাল্টায়নি বামুটিয়ায়। আর তা উপলব্ধি করতে পেরেই ২০২৩ এ আবারো বাম প্রার্থী কেই জনগণ বেছে নিলেন তাদের পছন্দ হিসেবে। আর তাতেই হরি চরণ সরকার এর পর উনার পুত্র নয়ন সরকার এই কেন্দ্রে বিধায়কের দায়িত্বে আসীন হলেন। বিগত ১ বছরে গোটা বামুটিয়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গা চষে বেরিয়েছেন তিনি। ৫ বছরে কৃষ্ণ ধন দাসের হাত ধরে উন্নয়ন এর পরিবর্তে বরং অবনতি টাই বেশি হয়েছে বলে দাবী ও করেছেন তিনি। বর্তমানে রাজ্য সরকারের ক্ষমতায় বিজেপি শিবির রয়েছে। আর তাই বিরোধী দলীয় বিধায়ক হয়ে ইচ্ছে থাকলেও অনেক কিছুই করে উঠতে পারছেন না তিনি। তবে প্রয়াস জারি রেখেছেন। অন্তত পক্ষে জন সাধারণ কে সজাগ করতে নিত্য দিনই নানা কর্মসূচী তে লিপ্ত থাকছেন বিধায়ক। ঠিক একই চিত্র ক্যামেরায় ধরা পড়লো আজকেও।

Bamutia MLA Nayan Sarkar
Bamutia MLA Nayan Sarkar

বুধবার দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রাজ্যবাসীর দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান চেয়ে গণ আন্দোলনে শামিল হবার আহ্বান জানালেন বিধায়ক। সিপিআইএম কামালঘাট ও লেফুঙ্গা লোকাল কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক গণ মিছিলে যোগদান করে আজ বিধায়ক নয়ন সরকার স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে গিয়ে বলেন রাজ্যের বর্তমান বিজেপি সরকার যে উন্নয়ন মূলক প্রতিচ্ছবি মানুষের মনে তৈরি করার চেষ্টা করেছিল তা কোনো অংশেই পরিপূর্ণতা পায়নি। খাদ্য, জল, বিদ্যুৎ, কর্মসংস্থান সব দিক থেকেই ভুক্তভুগি রাজ্যের মানুষ। পুঁজিপতিদের আরও বেশি করে আর্থিক লাভ কামাই করতে এবং দরিদ্রকে আরও বেশি করে দারিদ্রতার স্বাদ উপহার দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে এই সরকার। তাঁর পাশাপাশি নেশার সাম্রাজ্য বিস্তারে এক অন্য মাত্রায় ভূমিকা পালনে ব্যস্ত এই সরকার। সব দিক বিচার বিবেচনা করে নিজেদের দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান চেয়ে গণ আন্দোলনে দলে দলে সামিল হতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আন্দোলনে নামছে সিপিআইএম ছাত্র যুব সংগঠন
Leave A Reply