Riot Over Puja Collection : পুজো মুখী ত্রিপুরায় চাঁদা সংস্কৃতির ফাঁদে আটকা পরে সর্ব শান্ত হচ্ছেন আম জনতা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এক শ্রেণীর লোভী ভণ্ড ভক্তেরা চাঁদার জুলুম চালিয়েই যাচ্ছে দিকে দিকে। মর্জি মাফিক চাঁদা আদায় না করতে পারলেই নিজেদের আক্রোশ জাহির করতে গিয়ে ঘর বাড়ি , যানবাহন কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হামলা চালাচ্ছে একাংশ। এরাই নাকি এই চাঁদা তুলে নিয়ে গিয়ে মণ্ডপে মায়ের পুজো করবে।
এবার চাঁদা বাজির এহেন ঘটনার সাক্ষী হয়ে ত্রিপুরার আমতলী থানাধিন সেকেরকোট বাজারে ৪ ব্যবসায়ী কে বড় অঙ্কের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হল। পুড়িয়ে দেওয়া হল তাদের দোকান । ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেওয়া হল ভিটে। এই নিয়ে অবশেষে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন ক্ষতি গ্রস্থরা।
ঘটনার সূত্রপাত সেকেরকোট পিএম শ্রী বিদ্যালয় সংলগ্ন নিউ ক্লাব এর দুর্গা পুজোর চাঁদা দেওয়া কে ঘিরে। অভিযোগ উক্ত ক্লাবের কিছু সদস্য চাঁদা তুলতে এসে এক এক জন ব্যবসায়ীর নামে ১০ হাজার টাকা করে রসিদ কেটেছেন। স্বাভাবিক ভাবেই তারা এতো বড় অঙ্কের চাঁদা দিতে অনীহা প্রকাশ করেন এবং জানান, বিগত বছর তারা ১২০০ টাকা চাঁদা দিয়েছিল। এ বছর না হয় তারা ১৫০০ টাকা দেবে। এই থেকেই ক্লাব এর ছেলেদের সাথে তাদের সামান্য মনোমালিন্য হয়।
তবে এই কথা এটুকুই সীমিত থাকেনি। রাতারাতি এক দল যুবক তথা ক্লাব এর সদস্যরা পুজো উদ্যোক্তা থেকে সোজা একেবারে দুষ্কৃতী রূপ ধারন করে ঐ ব্যবসায়ী দের দোকান পাঠে অতর্কিত হামলা ও ভাংচুর চালায়। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। ঘটনা জানতে পেরে ছুটে আসে দোকান মালিকেরা। খবর যায় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কানে। সকলে ছুটে এসে পরিস্থিতি চাক্ষুষ করে খবর দেন আমতলী থানায়। পুলিশ এসেও ঘটনার বিবরন জেনে যায়।
এই গোটা ঘটনার পেছনে সেকেরকোট নিউ ক্লাব এর পুজো কমিটি যুক্ত বলে অভিযোগ জানিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন ক্ষতি গ্রস্থরা। অন্যদিকে বাজার ব্যসায়ি সমিতি ও এই ঘটনার জন্যে ক্লাব কে দায়ী করে অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কড়া পদক্ষেপ গ্রহনের আর্জি জানিয়েছেন।
বলা বাহুল্য, আজকাল দুর্গা পুজো করার উদ্দেশ্য যে কেবল মায়ের আরাধনা অব্দি সীমিত তা কিন্তু নয়। বরং তার চাইতে ও বেশি কে কার চাইতে বড় পুজো করতে পারছে এই নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে। আর এই সংস্কৃতিই মূলত বাঙ্গালীর সেরা উৎসবের গরিমা কে খর্ব করে দিয়েছে। ত্রিপুরায় দিকে দিকে চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি চলছে। এই নিয়ে অতি সত্বর জেলা ও মহকুমা প্রশাসন যদি কোনো কড়া পদক্ষেপ গ্রহন না করেন তবে তা আগামী দিনে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে বলেই ধারণা করছেন সচেতন নাগরিক।