Ranjit Debbarma Praise Biplab Kumar Deb : ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে ইতিহাস-স্মৃতি রক্ষার দাবি আরও তীব্র আকার নিচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা সম্প্রতি আগরতলা টাউন হলের নাম পরিবর্তন করে ‘শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি টাউন হল’ করার ঘোষণা দেন৷ এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোও সরব হয়, এবং Indigenous People’s Front of Tripura (IPFT)-র বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা স্পষ্টভাবে প্রতিক্রিয়া জানান।
বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা বলেন,
“রাজ্যের অন্যত্র বিশাল একটি হল নির্মাণ করে সেখানে ডা. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির নামে নামাঙ্কন করুক সরকার – এতে কারোর আপত্তি থাকবে না। কিন্তু আগরতলার ঐতিহ্যবাহী টাউন হলের নাম পরিবর্তন করা মানে শহরের ঐতিহাসিক পরিচিতিকে মুছে ফেলা।
তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন, এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে অযথা বিতর্কে না জড়াতে।
টাউন হল প্রায় ৪০ বছর পুরনো হওয়ার কারণে এটি নাম পরিবর্তন করা উচিত নয়, বরং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের রাজনীতি প্রসঙ্গ তুলে জানান,
“বিপ্লব দেব যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি গন্ডছড়াকে গন্ডাতুইসা, বড়মুড়াকে হাতাইকাতর এবং আগরতলা বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে বীর বিক্রম কিশোর মানিক্যের নামে নামাঙ্কিত করেন – যা রাজ্যের আদিবাসী ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।” এই পুরনো নামায়নগুলো পূর্বেই আদিবাসী স্মৃতি ও মর্যাদায় ভিত্তি করে রূপায়িত হয়েছিল।
বর্তমানে টাউন হলের নাম পরিবর্তন – শহরের ঐতিহ্য ও পরিচয়কে ক্ষুণ্নের সমতুল্য। তিনি বলেন, যদি কয়েকজন নেতার নামীয় স্মারক থাকা দরকার হয়, তবে সেসব নতুন স্থাপনায় করা যায়, কিন্তু ঐতিহ্যবাহী, স্মৃতিবিহীন স্থানে ঐতিহাসিক নাম রাখাটাই যথার্থ ও ন্যায্য।
বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজ্যের ঐতিহাসিক ভাবে সংযুক্ত ও রাজনৈতিক সংকটে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। রাজ্যের আদিবাসী ঐতিহ্য রক্ষায় এবং নতুন স্মারক স্থাপনের বিকল্প পথের দাবি করা হয়েছে।
ত্রিপুরায় বিগত এক দশকে মুখ্য দুই প্রধান আদিবাসী‑সংরক্ষণমূলক নাম পরিবর্তনের উদাহরণ রয়েছে – বিপ্লব দেবের সময় বেশ কয়েকটি দর্শনীয় নামায়ন ঘটেছে, যা আদিবাসী ইতিহাস ও সংস্কৃতির সম্মান হিসাবে চিহ্নিত।



