NCC Ps News : ত্রিপুরার পশ্চিম জেলার এনসিসি থানার পুলিশ দেরিতে হলেও অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখলো চুরির ঘটনায়। গত দুই মাস ধরে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে ধারাবাহিক তদন্ত চালিয়ে পুলিশ একাধিক চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে আসল মালিকদের হাতে সেই জিনিসপত্র ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
জেলার পুলিশ সুপার নমিত পাঠক সংবাদমাধ্যমকে জানান, উদ্ধার হওয়া সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন, গ্যাস সিলিন্ডার, মোটরবাইক ও স্কুটি। তাঁর মতে, নাগরিকদের সহযোগিতা এবং পুলিশের নিরলস প্রচেষ্টা ছাড়া এ ধরনের উদ্ধার অভিযান সম্ভব হতো না। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়াতে আমরা সর্বদা তৎপর। ভবিষ্যতেও অপরাধ দমনে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।”
এদিন ভুক্তভোগীরা তাঁদের চুরি যাওয়া জিনিসপত্র ফিরে পেয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন। অনেকে জানান, অনেকটা আশা হারিয়েই ছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশের এই উদ্যোগ তাঁদের আবার নতুন করে আস্থা জাগিয়েছে। স্থানীয় এক ভুক্তভোগীর কথায়, “আমাদের মনে হয়েছিল জিনিসপত্র আর কোনোদিন ফেরত পাবো না। কিন্তু পুলিশ যেভাবে নিষ্ঠা নিয়ে কাজ করেছে, তাতে সত্যিই কৃতজ্ঞ।”
গ্রাম ও শহরাঞ্চলে সাম্প্রতিক সময়ে চুরির ঘটনাগুলো উদ্বেগ বাড়াচ্ছিল। রাতের অন্ধকারে ঘরবাড়ি, দোকানপাট এবং রাস্তায় পার্ক করা গাড়ি চুরির শিকার হচ্ছিল নিয়মিত। পুলিশের এই উদ্ধার অভিযান সেই উদ্বেগ কিছুটা হলেও প্রশমিত করেছে।
স্থানীয় প্রশাসন মনে করছে, পুলিশের এই পদক্ষেপের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ তৈরি হবে এবং অপরাধীদের মনোবল ভেঙে পড়বে। পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, শুধুমাত্র উদ্ধার নয়, চুরি প্রতিরোধে নজরদারি ক্যামেরা, টহলদারি ও তথ্যদাতাদের সহযোগিতা আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক মহল মনে করছে, পুলিশ-প্রশাসনের এমন তৎপরতা অপরাধ দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। আর জনগণও যদি সচেতনভাবে সহযোগিতা করে, তবে এলাকায় এ ধরনের অপরাধ অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে।