Mohanpur Anganwadi News : মোহনপুরের গজারিয়া গ্রাম বৃহস্পতিবার সকালেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে স্থানীয় ডিএম কলোনি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে ঘিরে। কেন্দ্রের কর্মী শিক্তা পাল–কে একাধিক অভিযোগের পর কেন্দ্রের ভিতরে তালাবন্দি করে বিক্ষোভ দেখান শিশুদের অভিভাবকরা। দীর্ঘদিন ধরে চলা নানা অনিয়মের প্রতিবাদেই এমন কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হন তারা বলে জানা যায়।
অভিভাবকদের অভিযোগ, শিশুদের জন্য বরাদ্দ পুষ্টিকর খাবার ঠিক সময়ে বা সঠিকভাবে দেওয়া হয় না। কেন্দ্রের সার্বিক ব্যবস্থাপনাও অত্যন্ত শোচনীয় বলে দাবি করেন অনেকে। প্রতি মাসে শিশুদের জন্য চাল, ডালসহ অন্যান্য সামগ্রী দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা নিয়মিতভাবে পান না বলেও অভিযোগ উঠে আসে।
এক অভিভাবক আরও জানান, নিজের সন্তানের ট্রান্সফার সার্টিফিকেট নিতে গেলে দিদিমণির কাছ থেকে উল্টো হুমকি-ধমকি এবং অশালীন আচরণের শিকার হন তিনি। একই কেন্দ্রের হেল্পার নীলীমা সূত্রধরও দিদিমণির বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছেন। তার দাবি, “অথবা আমাকে, অথবা দিদিমণিকে বদলি করা হোক”—কারণ একইসঙ্গে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
গ্রামবাসীর কথায়, শিক্তা পাল নাকি কেন্দ্র পরিচালনার ক্ষেত্রে কারুর নির্দেশকেও মানেন না। এসব আচরণের জেরে স্থানীয়দের ক্ষোভ ফেটে পড়ে এবং শেষমেশ তাকে কেন্দ্রের ভেতরে তালাবন্দি করে রাখেন অভিভাবকরা।
ঘটনার খবর পেয়ে উপস্থিত সংবাদমাধ্যম কর্মীরা দিদিমণির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে, তিনি ক্যামেরার সামনে অস্বাভাবিক আচরণ করেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে এবং উচ্চ দফতরের হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় গ্রামের মানুষ।
গজারিয়া গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রকে ঘিরে এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট, স্থানীয় মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রের কার্যক্রমে দ্রুত স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা জরুরি। শিশুদের পুষ্টি, সুষ্ঠু পরিষেবা এবং কর্মীদের আচরণ—প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন। অভিযোগের ন্যায়সঙ্গত তদন্ত ও যথাযথ ব্যবস্থা না হলে এমন উত্তেজনা ভবিষ্যতেও দেখা দিতে পারে বলে মনে করছে গ্রামবাসী। শিশুদের স্বার্থেই এই সমস্যার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান জরুরি।



