Missing Iman Hossain : ত্রিপুরার বিশালগড় রঘুনাথপুরে চাঞ্চল্যকর অপহরণের ঘটনা সামনে এসেছে। ভাড়া বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়েছে তিন সন্তানের পিতাকে।
অভিযোগ, ১০ থেকে ১৫ জন দুষ্কৃতী প্রকাশ্যেই তুলে নিয়ে যায় ওই ব্যক্তিকে। এখনো পর্যন্ত পুলিশ অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ।
অপহৃতের নাম ঈমান হোসেন। স্ত্রী জনবের নেছার দাবি, অপহরণের পেছনে রয়েছে বিশালগড় জাঙ্গালিয়া এলাকার চিহ্নিত নেশা কারবারি ভুট্টু এবং তার গ্যাং। শুধু অপহরণ করেই ক্ষান্ত হয়নি দুষ্কৃতীরা। ঈমানের মোবাইল বন্ধ থাকলেও, এক ভয়ঙ্কর ভিডিও বার্তা পাঠানো হয়েছে জনবের নেছার মোবাইলে। এতে তাঁর স্বামীকে দেখা গেছে আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায়। ফোনে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, “কেটে টুকরো করে নদীতে ফেলে দেব।”
এছাড়া ও তিনি জানিয়েছেন যদি উনার স্বামী কে প্রশাসন খুজে না বের করতে পারে তবে বিষ খেয়ে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে আত্মহত্যা করবেন, তখন এর তা একমাত্র প্রশাসন থাকবে।
এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েছে পরিবার। স্ত্রী জনবের নেছা আজ সিপাহিজলা জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন, সঙ্গে তিন সন্তান। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডঃ মানিক সাহার কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ জানান—“আমার স্বামীর জীবন বাঁচান, আমি আপনাকে ভরসা করে এসেছি।”
এই ঘটনা শুধু একটি পরিবারের নয়, পুরো ত্রিপুরার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতিফলন। বিজেপি সরকারের আমলে এমন অপহরণ, মাদক ব্যবসা এবং অপরাধ কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যেখানে দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে অপহরণ করছে, হুমকি দিচ্ছে, ভিডিও পাঠাচ্ছে — সেখানে পুলিশের ভূমিকা আশ্চর্যজনকভাবে নিষ্ক্রিয়।
এই কি তবে হীরের ত্রিপুরা? এই কি সেই ‘ত্রিপল ইঞ্জিন’ সরকার, যেখানে নাগরিকের জীবন এতটাই অনিরাপদ হয়ে উঠেছে যে নিজের ঘর থেকেও মানুষ অপহৃত হচ্ছে?
তবে এখন গোটা রাজ্য তাকিয়ে আছে, মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব নিক এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে উদাহরণ তৈরি করুন। নয়তো মানুষ সরকারের উপর থেকে সম্পূর্ণ আস্থা হারাবে।