রাধানগরে কালি পুজোর দশমী কে ঘিরে বস্তি বাসীর মাতব্বরি
রাধানগর স্থিত রাধামাধব মন্দির সংলগ্ন আবাসনে কালী পূজার দশমি কে ঘিরে রাতারাতি উত্তাল পরিস্থিতি। আবাসনের এক মাতব্বরের ইন্ধনে পেছনে বসবাস রত বস্তি এলাকার কিছু লোক দশমীর রাতে মদমত্ত হয়ে আবাসনের মহিলা এবং রাধামাধব ক্লাবের এক সদস্য কে বেধড়ক মারধোর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার বিবরণে জানা যায় , বিগত দুই বছর যাবত রাধানগর স্থিত সরকারি আবাসনে বসবাসকারী পরিবারেরা মিলে মিশে সেখানে শ্যামা মায়ের আরাধনায় ব্রতী হন। এবছরে ও একই ভাবে আয়োজন করেন পুজোর । এবার তাদের আবাসনের পেছনে যে বস্তি এলাকা রয়েছে সেখানকার বাসিন্দা রা ও পুজোর আয়োজন করেন। দশমী করতে গিয়ে রবিবার রাতে গেইট তালা দেওয়ার বিষয় কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয় এবং অবশেষে বস্তি বাসিন্দারা আবাসনের পুজো উদ্যোক্তা মহিলাদের উপর চড়াও হয়ে তাদের কে বেধড়ক ভাবে মারতে থাকে। এমনকি রাধামাধব ক্লাবের এই সদস্যকে ও বেধড়ক মারধোর করা হয়। ঘটনা জানাতে পশ্চিম থানার দ্বারস্থ হলে তাদের প্রথমে পশ্চিম মহিলা থানায় পাঠানো হয়। এরপর পশ্চিম মহিলা থানার পুলিশ গাড়ি নেই এই অজুহাত দেখিয়ে তাদের ১১২ নম্বরে ফোন করতে বলেন। আর এভাবেই তাল বাহানা করে আক্রান্ত আবাসন বাসী দের কে ফেরত পাঠান। উল্লেখ্য , ২০২২ সালে হাওড়া নদীর তীরবর্তী প্রতাপগড় এলাকার বেশ কিছু পরিবারের কাছ থেকে তাদের জায়গা ক্রয় করে নিয়ে সরকার তাদের কে রাধানগর স্থিত এই আবাসনে পুনস্থাপিত করেছিল। কিন্তু তাদের অভিযোগ এই আবাসনে মোটেও তারা নিরাপদ নন। আবাসনেরই অপর এক বাসিন্দা তমাল দাস এর মাতব্বরির জেরে অতিষ্ঠ সেখানকার বাসিন্দারা। এদিনের মারপিটের পর ঐ ব্যক্তি এবং তার দলবল মিলে হুমকি ধমকি দিয়েছে যে আবাসনে তাদের কে থাকতে দেওয়া হবে না। উক্ত ঘটনা নিয়ে অবহিত রয়েছে স্থানীয় ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সান্তনা সাহা ও । কিন্তু উনার কাছে গেলেও সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়না বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। এই অবস্থায় আবারো নিজেদের ভিটে জমি তেই ফিরতে চাইছেন তারা। এই সমস্যার সুরাহা কি দেবে রাজ্য সরকার ? সেদিকেই তাকিয়ে আবাসন বাসীরা।