Malda Sadai village boycotts poll
গঙ্গানগর আর ডি ব্লকের অন্তর্গত মালদা পাড়ার সদাই মোহন পাড়া এলাকায় ভোট বয়কট। রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানীয় জলের সমস্যা নিরসন না হওয়ায় ভোট বয়কট করেছেন পাঁচটি পাড়ার লোকেরা।
ভোট আসে ভোট যায়। জনগণের ভোটে জনপ্রতিনিধি হয়েও কাজের কাজ কিছুই করেন না বিধায়ক কিংবা মন্ত্রী। তাই এবার গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ থেকেই বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন ৫ গ্রামের প্রায় ১০৫০ এর ও বেশি ভোটার। ত্রিপুরার ধলাই জেলার আমবাসা মহকুমাধীন গঙ্গানগর আরডি ব্লকের অন্তর্গত মালদা সদাই মোহন পাড়া সহ ৫ গ্রামের যৌথ ভাবে ভোট বয়কট কে ঘিরে সকাল থেকেই উক্ত এলাকায় উত্তেজনা ছরিয়েছে।
সারাদিন গ্রামের ভগ্ন সড়কপথে বসে সমস্যা নিরসনের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী মানুষ। দূরদূরান্ত থেকে এদিন ভোটার রা ভোট দিতে গেলেও গ্রামের মানুষের এই বয়কট কে সমর্থন করে অবশেষে ভোট দেওয়া থেকে বিরত হন তারা।
বিকেল প্রায় ৪ টা পর্যন্ত উক্ত এলাকায় কোনো জনপ্রতিনিধি কিংবা পুলিশ প্রশাসনের দেখাই মেলেনি। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক মুহূর্তে প্রত্যেক দলই তাদের ভোট বাক্স ভরাট করতে দ্বারে দ্বারে ভোট ভিক্ষা করেছেন। কিন্তু আজ ভোটের দিনেই এতো বড় এবং বিরল ঘটনা প্রত্যক্ষ করেও কারোর কোনো হেলদোল চোখে পড়লো না। অবশ্য নিরাপত্তার খাতিরে উক্ত ভোট কেন্দ্রে মোটায়েন করা ছিল বিশাল পুলিশ টিএস আর ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা শেষে জানান, দীর্ঘ বহু বছর যাবত সদাই মোহন পাড়া সহ গ্রামের একাধিক সড়ক পথ এর বেহাল দশা। এর আগেও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। জনপ্রতিনিধি বাছাই করেছেন। কিন্তু লাভ কি হল? আজো ঘণ্টার পর ঘণ্টা পায়ে হেটে যেতে হয় বাজারে। নেই যানবাহনের সুব্যবস্থা। থাকলেও রাস্তার বেহাল দশার কারণে যানবাহন চলাচলে অক্ষম। নেই পানীয় জলের সুব্যবস্থা। রয়েছে বৈদ্যুতিক সমস্যা। নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত এই মালদা এলাকাটির দিকে ফিরে তাকায়নি কেউই। তাই এই ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
এদিকে পোলিং স্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সকাল ৭ টায় নির্ধারিত সময়েই ভোট গ্রহন শুরু করেছিলেন রিটার্নিং অফিসার । পোলিং এজেন্ট , বিএলও দের নিয়ে ভোট পর্ব শুরু হবার পর মোট ১০৫৯ জন ভোটারদের মধ্যে মাত্র ৯ জন ভোট প্রদান করেছেন বলে জানানো হয়েছে। সার্বিক ভাবে পূর্ব ত্রিপুরা লোকসভা নির্বাচনে সদাই মোহন পাড়ার বুথে ভোট এর পারসেন্টেজ ছিল মাত্র ০.০৮% যা ১% এর ও কম।
শেষ খবর পাওয়া অব্দি তাদের সাথে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দেখা সাক্ষাৎ করতে আসেন নি ডিএম। নির্বাচনী কাজে ব্যস্ততার কারণে উনি যাননি বলে অন্য আধিকারিক মারফৎ জানিয়েছেন। তবে সমস্যা সমাধানের বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি এখনো।