Khowai hospital wrong treatment
সিজার করাতে গিয়ে মূত্রনালি কেটে ফেলার অভিযোগ গাইনোর বিরুদ্ধে
প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। করানো হয় সিজারিয়ান ডেলিভারি। কিন্তু ডেলিভারির ৪৮ ঘণ্টা পেড়িয়ে গেলেও প্রস্রাব হচ্ছে না রোগীর। অবস্থা বেগতিক দেখে জিবি হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষা নিরিক্ষায় ধরা পরে , ডেলিভারি করাতে গিয়ে ঐ রোগীর মূত্রনালি কেটে দিয়েছে দায়িত্ব প্রাপ্ত ডাক্তার। বর্তমানে ডায়ালাইসিস চলছে ঐ রোগীর। ঘটনা খোয়াই জেলায়।
খোয়াই জেলা হাসপাতালের গাইনোকোলজিস্ট এর বিরুদ্ধেই এই মারাত্মক ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে এখন মৃত্যুর কোলে অবতীর্ণ গৃহবধূ! ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গর্ভধারিণী অবস্থায় যুবতী গৃহবধূ অনিমা তাঁতিকে চেব্রি হাসপাতাল থেকে খোয়াই জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে খোয়াই জেলা হাসপাতালের গাইনোকোলজিস্ট অর্ঘ্যমাল্য দেববর্মা গত ৭ই ডিসেম্বর প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হওয়া সেই গৃহবধুর সিজার করেন। সিজার করতে গিয়ে তার মূত্রনালী কেটে দিয়েছে সেই গাইনো ডাক্তার বলে গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে অনিমা তাতির পরিবারের পক্ষ থেকে । পরবর্তীতে সেই গৃহবধূকে খোয়াই জেলা হাসপাতাল থেকে আর কোন কুল কিনারা না পেয়ে আগরতলা জি বি হাসপাতালের রেফার করে দেওয়া হয় । সেখানে গৃহবধূর মূত্রনালী কেটে দেওয়ার ফলে পরবর্তীতে উনাকে ডায়ালাইসিস করাতে হয়। এখনো পর্যন্ত পাঁচটি ডায়ালিসিস সম্পন্ন হয়েছে উনার বলে জানিয়েছে তার স্বামী । বর্তমানে খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে ওই গৃহবধূ। নিজ গ্রাম তবলা বাড়িতে গোটা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে সংবাদ মাধ্যম কে জানান বৃহস্পতিবার সকালে গৃহবধু অনিমা তাঁতির স্বামী বিশ্বজিৎ তাঁতি । মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লরা সেই গৃহবধূর স্বামী আরো জানান, তারা বিষয়টি নিয়ে ডাক্তার অর্ঘমাল্য দেববর্মার বিরুদ্ধে খোয়াই থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে রাষ্ট্রপতি কালার্স পুরস্কার প্রাপ্ত পুলিশ এই বিষয়ে কি ভূমিকা গ্রহণ করে। উল্লেখ থাকে এর আগেও গাইনোকোলজিস্ট অর্ঘ্য মাল্য দেববর্মার বিরুদ্ধে একইভাবে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ উঠেছিল।