ভোট কাটুয়া নয় কংগ্রেসের বন্ধুর ভূমিকায় এবার কেজরিওয়ালের আপ
“ ভোট কাটুয়া “ আখ্যা মানতে নারাজ আম আদমি পার্টি। তাই এই তকমা নয়, বরং কংগ্রেসের সহযোগী আখ্যা নিয়েই এবার ভোটের প্রস্তুতি নেবে কেজরিওাল ও তার দল।
এক দূরদর্শী ভাবনা কে কেন্দ্র করেই বলা চলে কেজরিওয়ালের এই সিদ্ধান্ত। সদ্য সমাপ্ত হরিয়ানা ও কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটে সেখানে প্রার্থী দিয়েছিল আম আদমি পার্টি। সেক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত ফলাফলের জন্যে আপ কেই দায়ী করেছে কংগ্রেস। এমনকি দুই কেন্দ্রেই আপ কে ভোট কাটুয়া নামে অভিহিত করেছে । এর পরেই কেজরিওয়াল সিদ্ধান্ত নেন যে আসন্ন দুই রাজ্যের কোনটিতেই আর প্রার্থী দেবেন না । বরং ঐ দুই রাজ্যে ইন্ডিয়া জোটের হয়ে প্রচার করবেন তিনি। যা কেজরিওয়ালের এক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।
শনিবার আপের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত জানানো হয়েছে যে তারা ঐ দুই রাজ্যে প্রতিদ্বন্ধিতা করবেন না। উল্লেখ্য, দিল্লী তে ক্ষমতাসীন হবার পর পরই আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল গোটা দেশ জুড়ে নিজ সংগঠন এর বিস্তার ঘটাতে প্রায় প্রত্যেক রাজ্যেই তাদের প্রার্থী দিয়েছিল। যার ফল স্বরূপ পাঞ্জাবে ঘাটি নির্মাণে সফল ও হয়েছে কেজরিওলের সরকার। উত্তর পূর্বের ত্রিপুরা তেও ভোট কালে হঠাৎ হঠাৎ আপ এর সেনা সামন্ত দের মাঠে নামতে দেখা যায়। তবে বাম ঘাটি ত্রিপুরা তে আপ মাথা তুলে দাড়াতে পারেনি। আবার বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা তেও আপ এর খুব একটা বিস্তৃতি হয়নি।
কিন্তু সাম্রাজ্য বিস্তার করতে প্রয়াস জারি রেখেছেন কেজরিওয়াল । তবে হরিয়ানা ও কাশ্মীরের নির্বাচন কিছুটা মন পরিবর্তন করেছে। যে কারণে এবার আসন্ন দুই ভোটে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকছে দল। অবশ্য তা সুপ্রিমোর নির্দেশেই।
তাছাড়া সামনে দিল্লীর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে প্রার্থী দেওয়া একদিকে যেমন সময় অন্যদিকে প্রচুর অর্থ ব্যয় বলে মনে করছেন সুপ্রিমো। উপরন্তু যদি হরিয়ানা ও কাশ্মীরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় তবে তা আপ এর বিরুদ্ধে জনসাধারণের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই আপ এর মূল ঘাটি দিল্লী তেই ফোকাস টিকিয়ে রাখতে চাইছেন এবার দলের সুপ্রিমো।
নতুন কোনো বিতর্কে না জড়িয়ে বরং ইন্ডিয়া জোটের সহযোগী হয়ে কাজ করলে কেজরিওয়ালের গ্রহন যোগ্যতা ও অনেকটাই বাড়বে কংগ্রেসের কাছে। যার ফল স্বরূপ আগামী দিনে আপ এর সহযোগিতায় কংগ্রেস ও এগিয়ে আসতে পারে বলে আশা প্রকাশ করা যায়।
সর্বোপরি, বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্য বদ্ধ শক্তি সঞ্চয়ের এক নিদারুণ কলা কৌশল গৃহীত হয়েছে তা নিঃসন্দেহে বলা যায়।