Kathaltali Drugs News : ড্রাগস এর নেশাসক্তি কিভাবে অকালে তরতাজা প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে তার আরও এক প্রকৃষ্ট উদাহরন ফুটে উঠলো কাঁঠালতলী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে। বিজেপি দলীয় সমর্থক ড্রাগস ব্যবসায়ী অসীম দাস এর প্ররোচনায় দীর্ঘ দিন যাবত ড্রাগস এর নেশায় আশক্ত হয়ে পড়া মুন্না দাস অবশেষে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হল। এক মায়ের বুক খালি হয়ে গেল মুহূর্তের মধ্যে।
ঘটনার বিবরনে প্রকাশ , কাঁঠালতলী গ্রাম পঞ্চায়েত অধীন কাঁঠালতলী বাজারে বিজেপির পার্টি অফিস লাগোয়া একটি দোকানে অসীম দাস নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘ বছর যাবত ড্রাগস বিক্রি করে আসছে। তার কারণে বহু উঠতি বয়সের যুবক ড্রাগস এর নেশায় আশক্ত হয়েছে।
সব কিছু জেনেও বাজার ব্যবসায়ী রা তাকে প্রশ্রয় দিয়ে রাখছে এমনকি কাঁঠালতলী পঞ্চায়েত এর প্রেসিডেন্ট লক্ষ্মী রানী দাস সহ পঞ্চায়েত এর মেম্বার এবং বুথ প্রেসিডেন্ট প্রশান্ত মালাকার ও এই সমস্ত ঘটনার সাথে জড়িয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অতঃপর বৃহস্পতিবার রাতে মুন্না দাস যে কিনা বিগত এক বছর যাবত নেশার আশক্তি কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছিলো তাকে অসীম দাস বেশ কয়েকবার ফোন করে ড্রাগস সেবন করতে প্ররোচনা যোগায়। অবশেষে ড্রাগস সেবন করে আত্মগ্লানি তে এদিন রাতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় মুন্না দাস। এই নিয়ে শুক্রবার দুপুরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় কাঁঠালতলী বাজারে।
অভিযোগ উঠেছে শাসক দলীয় পঞ্চায়েত এর মেম্বার সহ বহু নেতা নেত্রীরা এই বাণিজ্যের সাথে জড়িয়ে অসীম দাস কে শেল্টার দিয়ে যাচ্ছিলো। অতঃপর এদের সবার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এলাকাবাসী। এদিকে অসীম দাস কে আমতলী থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে খবর।
ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এদিন বাজারে অসীম দাসের দোকানের ঝাঁপ খুলে ভেতরে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালিয়েছে। এমনকি তার দোকানের ভেতর থেকে প্রচুর পরিমাণে ড্রাগস এর কৌটা উদ্ধার করতে পেরেছেন স্থানীয়রা। একটি সোফার কভারের ভেতর থেকেও ব্যাপক হারে কৌটা উদ্ধার হয়েছে।
এই দোকান থেকেই দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর যাবত এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে অসীম দাস। এমনকি তার স্ত্রী ও এই ব্যবসার ঘটনা জানতো বলে জানিয়েছেন এলাকার লোক। সম্পূর্ণভাবে শাসক দলীয় নেতাদের মদত পেয়ে অবাধে সে এই ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে বুথ সভাপতি প্রশান্ত মালাকার এর বক্তব্য উনি নাকি অসীম দাস কে বহুবার সতর্ক করেছেন। তবে এলাকাবাসীর দাবী প্রশান্ত মালাকার খোদ এই ঘটনার পেছনে মদত যুগিয়েছে। মুন্না দাস কেও গতকাল প্রশান্ত মালাকারই ডেকে নিয়ে গিয়ে ড্রাগস সেবন করতে ইন্ধন যোগায় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এদিকে কাঁঠালতলী পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট লক্ষ্মী রানী দাস কে রীতিমতো গণ রোষের শিকার হতে হয়। পুলিশ এর সামনেই বিক্ষুব্ধ জনতা লক্ষ্মী রানী দাস কে উত্তম মধ্যম দিতে অগ্রসর হয়। অসীম দাস কে আইনি গেঁড়াকল থেকে বাঁচাতে এই পঞ্চায়েত প্রেসিডেন্ট এর ও হাত রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয়দের আরও অভিযোগ এর আগেও একটি খুনের দায়ে জেল খেটে আসে অসীম দাস। তার পরেও তার স্বভাব গত পরিবর্তন হয়নি। অতঃপর মুন্না দাস আত্ম হত্যার ঘটনার পর অসীম দাস এর বিরুদ্ধে কঠিন থেকে কঠিন সাজার দাবী তুলেছেন এলাকার মানুষ।



