খবরে প্রতিবাদ

খবরে প্রতিবাদ

Thursday, 27 November 2025 - 01:29 AM
বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫ - ০১:২৯ পূর্বাহ্ণ

Kanchanmala News : সামান্য বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত সেকেরকোট-কাঞ্চনমালা রোড, জনদুর্ভোগ চরমে

Kanchanmala News
1 minute read

Kanchanmala News : কমলাসাগর বিধানসভার অন্তর্গত সেকেরকোট রেলস্টেশনের সংলগ্ন এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাঘাটের বেহাল দশা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে স্বল্প সময়ের বৃষ্টিতে সেকেরকোট থেকে কাঞ্চনমালা পর্যন্ত চলাচলের মূল সড়কটি কাদা-পানিতে পরিণত হয়েছে, যার ফলে বুধবার সকাল থেকেই যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে পড়ে।

জানা গেছে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের (আইওসিএল) একটি প্রজেক্টের কাজের জন্য ওই রাস্তাটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থা। বহুদিন ধরেই চলছে রাস্তাটি বড় করার কাজ। কাজের অংশ হিসেবে দূরবর্তী এলাকা থেকে ট্রাকে করে মাটি এনে রাস্তার উপর ফেলা হচ্ছিল, যাতে রাস্তা প্রশস্ত করা যায়। কিন্তু পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা বা বৃষ্টির জলের বিকল্প নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই নতুন ফেলা মাটিগুলি কাদা হয়ে রাস্তাটিকে একেবারে বিপদজনক অবস্থায় নিয়ে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল থেকেই সেকেরকোট থেকে কাঞ্চনমালা এবং কাঞ্চনমালা থেকে সেকেরকোটগামী যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে অটোচালক এবং বাইক আরোহীরা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির কারণে চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। কিছু যানবাহন কাদা ও গর্তে আটকে পড়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়েছে।

অটোচালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট নির্মাণ সংস্থা বৃষ্টির সময় এমন পরিস্থিতির সম্ভাবনা জেনেও কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেয়নি। রাস্তার পাশে জল নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি পুরো এলাকাকে চলাচলের অযোগ্য করে তুলেছে। এর ফলে প্রতিদিনের অফিসগামী ও ছাত্রছাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।

স্থানীয়রা দাবি তুলেছেন, অবিলম্বে প্রশাসন ও নির্মাণ সংস্থা যেন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করে। রাস্তায় কাদা পরিষ্কার ও অস্থায়ী পাথর বা গ্রাভেল ফেলে অন্তত যান চলাচল স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এমন সমস্যা এড়াতে নির্মাণ সংস্থাকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সেকেরকোট থেকে কাঞ্চনমালা রাস্তায় চলমান উন্নয়নকাজ স্থানীয়দের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনবে, এতে সন্দেহ নেই। তবে অব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনার ঘাটতির ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই যে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তা নির্মাণ সংস্থার দায়িত্বহীনতারই প্রতিফলন। জনগণের দৈনন্দিন চলাচল যেন বন্ধ না হয়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখে বিকল্প পথ বা অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি। প্রশাসন ও নির্মাণ কর্তৃপক্ষ যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে এই দুর্ভোগ আরও বাড়বে। তাই এখনই প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ—যাতে উন্নয়ন কাজ চলমান থাকলেও সাধারণ মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করা যায়।

For All Latest Updates

ভিডিও