Kanchanjunga Express Stoppage : দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস প্রথমবারের মতো থামল দক্ষিণ ত্রিপুরার বিলোনিয়া রেলস্টেশনে। বহুদিনের দাবি পূরণে উচ্ছ্বাসে ভাসল পুরো এলাকা।
স্টেশন চত্বরে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ — ব্যান্ড বাজনা, করতালি, স্লোগান আর মানুষের ভিড়ে পরিণত হয় রেলের নতুন স্টপেজ উদ্বোধন এক স্মরণীয় দিনে। উপস্থিত ছিলেন সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, রাজ্যের মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, জেলা সভাধিপতি দীপক দত্ত, বিধায়িকা স্বপ্না মজুমদার, বিধায়ক দীপঙ্কর সেন, অশোক মিত্র, বিলোনিয়া পৌর পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল চন্দ্র গোপ, জেলা শাসক মোহাম্মদ সাজাদ পি, বদরপুর রেলের এরিয়া ম্যানেজার বীরেন্দ্র মিনা সহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, এ স্টপেজ চালুর ফলে বিলোনিয়া ও আশেপাশের মানুষের যাতায়াতে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। আলোচনা শেষে সবুজ পতাকা নেড়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন ছাড়েন অতিথিরা। ভোর থেকে জড়ো হওয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখে ছিল আনন্দের ঝলক।
কিন্তু শুধু বিলোনিয়া নয়—দক্ষিণ ত্রিপুরার আরও এক গুরুত্বপূর্ণ খবর হলো, একই দিনে জোলাইবাড়ী রেলস্টেশনেও থামল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। এতদিন সাব্রুম যাওয়ার পথে ট্রেনটি জোলাইবাড়ী অতিক্রম করলেও এখানে কোনো স্টপেজ ছিল না। ফলে দূরপাল্লার যাত্রীদের বড় অসুবিধা হতো।
দীর্ঘ আন্দোলন ও জনদাবির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর অনুমোদনে বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হয় নতুন এই স্টপেজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া, জোলাইবাড়ী ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান তাপস দত্তসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি। মন্ত্রী শুক্লাচরণ নোয়াতিয়া বক্তব্যে ধন্যবাদ জানান কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী, সাংসদ বিপ্লবকুমার দেব, রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী ও মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ড.) মানিক সাহাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই দুই নতুন স্টপেজ চালুর ফলে যোগাযোগব্যবস্থা আরও উন্নত হবে, ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি আসবে এবং চিকিৎসা ও শিক্ষার সুযোগেও সুবিধা মিলবে।
বিলোনিয়া ও জোলাইবাড়ী—দক্ষিণ জেলার দুই প্রান্ত আজ যেন একই আনন্দে ভাসল। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের নতুন যাত্রাপথ শুধু ট্রেনের সময়সূচি নয়, মানুষের জীবনে যুক্ত করল নতুন গন্তব্যের গল্প।