Kailasahar News : কৈলাসহর শহরের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থার বেহাল দশা আবারও প্রকাশ্যে এলো বুধবার সকালে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর। সকাল প্রায় দশটার দিকে আদালত চত্বরে দ্রুতগতির একটি অটো এক বাইক আরোহীকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন কৈলাসহর আদালতের কর্মচারী শুসেন্দ্র দাস। আহত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনার পর অটো চালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সে নিজেই পুলিশের সামনে আসে। পরে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। তবে এই ঘটনা ঘিরে আদালতের কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। তাঁদের অভিযোগ—আদালতের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় স্থায়ী ট্রাফিক পোস্ট না থাকায় নিয়মিতই এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।
কৈলাসহর আদালত চত্বরকে অন্যতম ব্যস্ত এলাকা হিসেবে গণ্য করা হয়। এখানে রয়েছে মহকুমাশাসকের অফিস, সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, টাউন হল, নির্বাচন দপ্তর, একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। তবুও, পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন না থাকা এবং নিয়মিত ট্রাফিক নজরদারির অভাব জননিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে বলে অভিযোগ করেন কর্মচারীরা।
এছাড়া শহরে লাগাতার চুরি, বেপরোয়া গাড়ি চালানো এবং আইনশৃঙ্খলার শিথিলতার ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে পড়েছে। আদালতের একজন কর্মী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আইনের রক্ষকরাই যদি নীরব থাকে, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে?”
ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যেও ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তাঁরা দ্রুত স্থায়ী ট্রাফিক পোস্ট স্থাপন, পুলিশের টহল বৃদ্ধি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দাবি তুলেছেন।
কৈলাসহর আদালত চত্বরের দুর্ঘটনা এটি দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা, নিরাপত্তাহীনতা এবং প্রশাসনিক উদাসীনতার প্রতিচ্ছবি। শহরের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রবিন্দুতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ও স্থায়ী ট্রাফিক পোস্ট না থাকলে ভবিষ্যতেও এমন দুর্ঘটনা বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। আদালতের কর্মীদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্তৃপক্ষের কাছে স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে—নাগরিক নিরাপত্তাকে আর অবহেলা করা যাবে না। এখন দেখার বিষয়, আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা প্রশাসন কত দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।



