Kailasahar Congress Protest : কৈলাসহর শহর আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল রাস্তার দাবিতে। সোমবার দুপুরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ ডাকবাংলো থেকে রাঙ্গাউটি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তায় সংস্কারের দাবিতে জেলা যুব কংগ্রেস ও ব্লক যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে কুবঝার এলাকায় শুরু হয় পথ অবরোধ। ধীরে ধীরে অবরোধ ছড়িয়ে পড়ে বাবুরবাজার এবং নুরপুর পর্যন্ত। তিন জায়গায় একসাথে বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় গোটা উত্তরাঞ্চলের যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
অবরোধের নেতৃত্বে ছিলেন যুব কংগ্রেসের একাধিক নেতা—হদিস মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, সানু চৌধুরী, জুবের আহমেদ খান, প্রাক্তন যুব নেতা হিল্লোল গুপ্তসহ আরও অনেকে। তাঁদের অভিযোগ, দুই বছর আগে ঠিকাদার বিপ্লব কর এই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, শুধু গাড়িই নয়, পথচারীরাও ঠিকমতো চলাচল করতে পারছেন না।
প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনার খবর আসছে। মাত্র এক মাস আগেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক গাড়ি চালক। স্থানীয়দের দাবি, উত্তরাঞ্চলে যাতায়াতের জন্য এই একটিই রাস্তা থাকায় প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি এখানে চলাচল করে। কিন্তু রাস্তার বেহাল দশার কারণে অসুস্থ রোগীকেও সঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছে না।
যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ, একাধিকবার প্রশাসনকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এমনকি দুই মাস আগে একই দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি হলেও তার পরও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই ফের আজ তাঁরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।
অবরোধের খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে দুপুর সোয়া বারোটা পর্যন্ত কোনো উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলতে না আসায় বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। ক্ষিপ্ত জনতা কুবঝারের পাশাপাশি বাবুরবাজার ও নুরপুর এলাকায়ও অবরোধ শুরু করে। ফলে একসাথে তিনটি স্থানে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গোটা কৈলাসহর উত্তরাঞ্চল কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
অবরোধকারীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যতক্ষণ না জেলাশাসক বা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা ঘটনাস্থলে এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছেন, ততক্ষণ তাঁদের আন্দোলন চলবে।
স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, সরকারের উদাসীনতা ও ঠিকাদারদের নিম্নমানের কাজের ফলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। এখন দেখার বিষয়, প্রশাসন কত দ্রুত এই সংকট নিরসনে এগিয়ে আসে।